৮ বছরের সৎ ইউপি চেয়ারম্যান এখন সবজি বিক্রেতা !

1934

আব্দুর রশিদ টানা ৮ বছর ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। অথচ এখন জীবন চলে বাজারে সবজি বিক্রি করে। বলছি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার গোহালবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের কথা।

জানা যায়, ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোট আট বছরের ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রশিদ চেয়ারম্যানের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

এদিকে সেই ভিডিওতে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনি এত বছর চেয়ারম্যান থেকেও এখন সবজি বিক্রি করছেন অনেকেতো চেয়ারম্যান থেকে অনেক টাকা-পয়সার মালিক হয়ে যান?

মন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। খেয়ানত করলে আল্লাহ আমাকে ছাড়বেন না। আমাকে একদিন মরতে হবে।’

এক জালেই ৪০ লাখ টাকার পোয়া মাছ, ভাগ্যবান জামাল বহদ্দার

একেই বলে ভাগ্য। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবদিয়া চ্যানেলে এক জেলের জালে একসঙ্গে উঠে এসেছে ৮১টি বড় সাইজের পোয়া মাছ। যার প্রতিটির ওজন ১৫ থেকে ২৫ কেজি। আর ৮১টি পোয়া মাছ বিক্রি করে পেয়েছেন ৪০ লাখ টাকা।

বুধবার (৬ নভেম্বর) এক জালেই কপাল খুলে গেছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি শাইরারডেইল এলাকার জামাল উদ্দিন বহদ্দারের। তিনি ওই এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।

ভাগ্যবান জামাল উদ্দিন বহদ্দার জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে মাতারবাড়ির পশ্চিমপাশে কুতুবদিয়া চ্যানেলে জাল বসিয়ে চলে আসেন তিনি। সকালে জাল তুলতে গিয়ে দেখেন, তা টেনে কূলে আনা যাচ্ছে না। পরে আরও লোকজনের সহায়তায় জাল তোলা হলে দেখেন একঝাঁক পোয়া মাছ জালে আটকে আছে। সবগুলো মাছের আকার বড়। প্রতিটি মাছের ওজন ১৫ থেকে ২৫ কেজি।

তিনি আরও জানান, পোয়া মাছের বিশাল ঝাঁক পাওয়ার কথা প্রচার পেলে উৎসুক মানুষ ঘটনাস্থলে এসে ভিড় জমান। ব্যবসায়ীরা মাছগুলো কিনতে দর হাঁকেন। প্রথমে ৩৯ লাখ টাকা পর্যন্ত দর ওঠে। পরে কক্সবাজার ফিশারিঘাটের ইসহাক নামে এক ব্যবসায়ী ৪০ লাখ টাকায় মাছগুলো কিনে নেন।

মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাস্টার রহমত উল্লাহ বলেন, মহেশখালী দ্বীপের ইতিহাসে এত বড় সাইজের পোয়া মাছ কোনো জেলের জালে ধরা পড়েনি। ঘটনাটি সবার মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। আল্লাহর কুদরতিতে হাত দেয়া অসাধ্য। তিনি যাকে ইচ্ছা এভাবে ভরিয়ে দেন।