প্রথম বেল্ট অ্যান্ড রোড চাইনিজ ইউনিভার্সিটি এবং ওভারসিজঅংশীদার বিনিময় সম্মেলন

431

“গুয়াংজু মালিশাএডু কোম্পানি লিমিটেড অয়োজিত প্রথম বেল্ট অ্যান্ড রোড চাইনিজ ইউনিভার্সিটি এবং ওভারসিজ পার্টনার এক্সচেঞ্জ কনফারেন্স চীনের গুয়াংজুতে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয় ডিসেম্বর ১৪ এবং ১৫ , ২০২৩ তারিখে । এই সম্মেলনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সকল প্রতিনিধিদের একত্রিত করা পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণা খাতে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে আরও জানানো এবং চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা স্থাপন, ভর্তি প্রক্রিয়া এবং স্কলারশিপ প্রক্রিয়া সর্ম্পকে বিস্তারিত জানার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।

৪০ টিরও বেশি সুপরিচিত চীনা বিশ্ববিদ্যালয়, ছয়টি দেশের দূতাবাস এবং কনস্যুলেট প্রতিনিধি, আটটি দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি, ৫০টিরও বেশি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১০০ টিরও বেশি বিদেশী প্রতিনিধি এই একাডেমিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে, হুয়াজং ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইচইউএসটি), সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (এসসিইউটি ), ইয়াংঝো ইউনিভার্সিটি ( ওয়াইজেটইউ) এবং অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিল।

বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, মরক্কোসহ ৩০টি দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে যোগ দেন।

আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন কেনিয়ান দূতাবাসের জনাব ইনোসেন্ট অ্যালোয়েস মোগুন্ডে, গণপ্রজাতন্ত্রী মোজাম্বিকের প্রথম সচিব জনাব টেলেস আলফ্রেডো ম্যাকোবে, থাইল্যান্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক জনাব থাপানুত উদোমশ্রী, ইথিওপিয়ান ফার্মা কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর মিতিকু দেফারশা মেন্টি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সচিব জনাব আবু আলী মো. শাজ্জাদ হোসেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের উপ-পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেস (বিআইএল) এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ এই কনফারেন্সে যোগদান করেন। এছাড়া বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ জনাব সোলায়মান সুখন এবং জনাব তাওহিদ উদ্দিন আফ্রিদি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতে অনুষ্ঠানটি প্রচার করেন। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে মালিশা এডুর চেয়ারম্যান ইঞ্জি. শেখ কোরবান আলী এবং জনাব আবু আলী মো. শাজ্জাদ হোসেন এবং লেডি সৈয়দা সারওয়াত আবেদ সহ আরও ছয়জন অতিথি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ইঞ্জি. শেখ কোরবান আলী উল্লেখ করেন, “আমরা শুধু চাইনিজ শিক্ষাকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরছি না, আমাদের বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত।”

ড. মো. ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশী শিক্ষা ব্যবস্থা উপস্থাপন করেন এবং বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য চীনে অধ্যয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করেন।
এছাড়া তিয়ানজিন ইউনিভার্সিটি, নর্থইস্ট ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, এবং চেংডু নরমাল ইউনিভার্সিটি, বেল্ট অ্যান্ড রোড চাইনিজ সেন্টার (বিআরসিসি) এর সাথে সফলভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যাতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শেখার আরও সুযোগ তৈরি করা হয়।

১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ -এ, সকল আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি এবং চীনা বিশ্ববিদ্যালয় গুলির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ব্যপারে আলোচনা হয় । এই আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভর্তি এবং স্কলারশিপ প্রক্রিয়া সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এছাড়া, অনেক চীনা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

মালিশাএডুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. মারুফ মোল্লা সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এবং
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০ টির অধিক দেশে ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক শিক্ষা মেলা আয়োজনের ঘোষণা দেন।
তিনি বিশ্বাস করেন যে এই শিক্ষা সম্মেলনের মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীরা চীনা শিক্ষার সুযোগ ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারবে।