শরীরে যে ৫ উপকার হয় ইলিশ মাছ খেলে

1366

শরীরে যে ৫ উপকার হয় ইলিশ মাছ- নদীর মাছ খেতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। যেমন পদ্মা নদীর ইলিশ খুবই সুস্বাদু। সর্ষে ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ দোপেয়াজা, ইলিশ পাতুরি, ইলিশ ভাজা, ভাপা ইলিশ, স্মোকড ইলিশ, ইলিশের মালাইকারী এমন নানা পদের খাবার বাংলাদেশে জনপ্রিয়।

পৃথিবীর মোট ইলিশের প্রায় ৬০ শতাংশ উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমারসহ নানা দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়। খবর-বিবিসি বাংলা।

সবচেয়ে বিখ্যাত পদ্মার ইলিশ। পদ্মার ইলিশ সবচেয়ে সুস্বাদু। কারণ পদ্মা-মেঘনা অববাহিকায় যে ধরনের খাবার খায় ইলিশ এবং পানির প্রবাহের ফলে শরীরে উৎপন্ন হওয়া চর্বিই এর স্বাদ অন্য যে কোনো জায়গার ইলিশের চেয়ে ভিন্ন করেছে।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের তথ্যানুযায়ী এই মূহুর্তে দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে। বাংলাদেশে গত এক দশকে ইলিশের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে রসনা তৃপ্তির সাথে সাথে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে ইলিশ।

এছাড়া ইলিশ মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে জানান মৎসবিজ্ঞানীরা। ড. রহমান জানান, ইলিশ মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, পটাশিয়াম। ইলিশ শরীরের জন্য খুবই উপকারি। হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়, রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।

আসুন জেনে নেই ইলিশ শরীরে যেসব উপকার করে-

১.ইলিশ মাছ খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।

২.মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয়।

৩.রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৪.বাত বা আর্থারাইটিস কম হয়।

৫.ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারও কম হয়।

সুত্র-যুগান্তর।

ত্রিশের পর ৪ খাবার এড়িয়ে চললে সুস্থ থাকবেন

ত্রিশ বছর বয়সকে জীবনের একটি বাঁকও বলা হয়ে থাকে। এ সময় শরীর ও মনে অনেক পরিবর্তন হয়। তাই খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। কারণ ত্রিশ বছর পেরিয়ে গেলে কিছু খাবার বাদ দিলে আপনি সুস্থ থাকবেন।

ত্রিশের পর সুস্থ থাকতে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমন চারটি খাবারের বিষয়ে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেমিক।

আসুন জেনে নেই ত্রিশের পর যে ৪ খাবার এড়িয়ে চললে সুস্থ থাকবেন-

১. ৩০ বছরের পরে কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কৃত্রিম চিনি অতিরিক্ত খেলে নসার ও টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

২. অ্যালকোহলে ক্যালরি থাকায় ৩০ বছরের পর শরীরের বাড়তি ক্যালরি ঝড়াতে কষ্ট হয়। এছাড়া অ্যালকোহল শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও দুধে থাকে ক্যাজেইন। যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া দুধ চা শরীরকে পানিশূন্য করে দেয়। আর ৩০ বছরের পর যেহেতু ত্বক ধীরে ধীরে বার্ধক্যের দিকে এগোতে থাকে তাই চা কফি না খাওয়াই ভালো।

৪. ত্রিশের পর সাদা আটার রুটি এড়িয়ে যেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শরীর আটাকে গ্লুকোজে রূপান্তর করে। ফলে দ্রুত চর্বি জমায়।তাই সাদা আটা না খেয়ে লাল আটার রুটি খাওয়া পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।