মসজিদে ৪০ বছর ধরে নিয়মিত আজান দিচ্ছেন এই অন্ধ ব্যক্তি

1355

৮০ বছরের বৃদ্ধ। দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মসজিদে আজান দেন। প্রতিদিন বাড়ি থেকে পায়ে হেটে মসজিদে গিয়ে আজান দেয়াকে জীবনের ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভাজানের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের এক মসজিদের মুয়াজ্জিন তিনি।

বৃদ্ধ বয়সেও তিনি মসজিদে আজাদ দেয়া থেকে বিরত থাকতে চান না। নিজ বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরের একটি মসজিদে তিনি আজান দিয়ে থাকেন। এ অন্ধ মুয়াজ্জিনের দীর্ঘ ৪০ বছরের দায়িত্ব পালনকালে কোনো দিন তার আজান ও নামাজের জামাআত মিস হয়নি।

হাতের লাঠিতে ভর করেই তিনি সময়মতো মসজিদে উপস্থিত হন। বাড়ি থেকে বেশ কিছু দূরত্বের এ মসজিদে আজান দেয়ার দায়িত্ব পালন সম্পর্কে এ অন্ধ মুয়াজ্জিন জানান-

‘আমি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে গোনাহ মাফ, ক্ষমা প্রাপ্তি ও জান্নাত লাভের জন্যই প্রতিদিন পায়ে হেঁটে মসজিদে আসি, আজান দেই এবং নামাজ শেষে পায়ে হেঁটেই বাড়ি যাই।’

আল্লাহ তাআলা এ অন্ধ মুয়াজ্জিনকে তার প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করে নিন। তার নিয়মিত মসজিদে আসা-যাওয়ার এ মহান উদ্দেশ্য প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের হৃদয়ে তৈরি করে দিন। আমিন।

জান্নাতে যাবে না দাইয়ুস…

যদিও আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে প্রথম কাতারে আদায় করেন, যদিও তাহাজ্জুদ পড়েন, যদিও আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশি মুসলিম ভাইয়ের হকের ব্যাপারে বেশ সচেতন, মোট কথা ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো যথাযথ ভাবে পালন করেন, কিন্তু যদি আপনার পরিবারে পর্দা সম্পর্কে উদাসীন থাকেন,

আপনার মা, বোন, মেয়েকে পরপুরুষের সামনে যেতে বাধ্য করেন অথবা বাধা না দেন কিংবা তাদের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন, তাহলে বিশ্বাস করুন আপনার নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতসহ বাকি সব আমল কোন কাজে আসবে না।

কারণ তখন আপনি একজন ‘দাইয়ুস’ ব্যক্তিতে পরিণত হবেন। আর দাইয়ুস ব্যক্তির জন্য আল্লাহ জান্নাত হারাম করেছেন। [সুনানুন নাসায়ি : ২৫৬২; মিশকাতুল মাসাবিহ : ৩৬৫৫]

দাইয়ুস কে?

নিজের স্ত্রী, মা, বোন কিংবা মেয়ের ব্যাপারে যার কোন গাইরত, আত্মমর্যাদাবোধ (Protective jealousy) নেই, যে নিজের স্ত্রীকে কিংবা তার দায়িত্বশীল পরিবারের মেয়েদের পর পুরুষকে দেখিয়ে আনন্দ পায় কিংবা পর পুরুষের সামনে যেতে কোন ধরনের বাধা দেয় না সেই ব্যক্তি দাইয়ুস।

আর দাইয়ুস ব্যক্তি জান্নাতে তো যাবে না; জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। তিন ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এমনকি আল্লাহ তাদের দিকে তাকিয়েও দেখবেন না। তার মধ্যে এক শ্রেণি হচ্ছে দাইয়ুস ব্যক্তি; যাদের দিকে আল্লাহ তাকিয়েও দেখবেন না। [মুসনাদে আহমাদ]