এবার বাংলাদেশে ভয়ংকর রূপ নিতে শুরু করেছে করোনা, ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্ত

820

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা’ভা’ইরাস এবার বাংলাদেশেও ভ’য়’ঙ্ক’র হতে শুরু করেছে । আ’ক্রা’ন্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আ’ক্রা’ন্তের দিক দিয়ে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন আরও ২৯ জন। ফলে দেশে মোট ক’রো’না আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭ জনে। এদের মধ্যে মা”রা গেছেন ১৩ জন।

সোমবার দুপুর মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে ক’রোনা’ভাই’রাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

ঢাকার যে ২৯ স্থানে ৫২ জন ব্যক্তি ক’রো’না শনাক্ত হয়েছে

ক’রোনা’ভাই’রাসে সারা দেশে এই পর্যন্ত সর্বশেষ ৮৮ জন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ঢাকারই ২৯ টি স্থানের ৫২ জন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

ক’রোনা’ভাই’রাস শনাক্ত ব্যক্তিদের জেলার নাম বলা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর ৫২ জনসহ ঢাকা জেলায় ৫৪ জন আ’ক্রা’ন্তের তথ্য দিয়েছে আইইডিসিআর। তবে সুনির্দিষ্ট ভাবে ৫২ জন আ’ক্রা’ন্ত ব্যক্তি কোথায় থাকতেন সেই এলাকার নাম বললেও দুইজন আ’ক্রা’ন্তের এলাকার নাম দেওয়া হয়নি।

রাজধানীর যে ২৯ টি স্থানে ৫২ জন ক’রো’না শনাক্ত হয়েছে :

বাসাবোয় ৯ জন, মিরপুরের টোলারবাগ ৬ জন, পুরান ঢাকার শোয়ারিঘাট ৩ জন, বসুন্ধরা ২ জন, ধানমন্ডি ২ জন, যাত্রাবাড়ী ২ জন, মিরপুর-১০ ২ জন, মোহাম্মদপুর ২ জন, পুরোনো পল্টন ২ জন, শাহ আলী বাগ ২ জন, উত্তরা ২ জন।

রাজধানীর বাকি ১৮ টি স্থানে একজন করে ক’রো’না রোগী পাওয়া গেছে। এ সব স্থানগুলো হলো, বুয়েট এলাকা, সেন্ট্রাল রোড, ইস্কাটন, গুলশান, গ্রিনরোড, হাজারীবাগ, জিগাতলা, মিরপুর কাজীপাড়া, মিরপুর-১১, লালবাগ, মগবাজার, মহাখালী, নিকুঞ্জ, রামপুরা, শাহবাগ, উর্দু রোড ও ওয়ারি।

দেশে করোনা ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত’দের ১১ জনই টোলারবাগের । আজ ৫ এপ্রিল রোববার, দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

মীরজাদী জানান, গেল ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ভা’ইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের শরীরে। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত যারা আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে মিরপুরের টোলারবাগ এলাকার ১১ জন, বাসাবো এলাকার ৯ জন এবং নারায়ণগঞ্জের ১১ জন।

এছাড়াও এই ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১ জনের প্রা’ণ’হানি ঘটেছে। ফলে দেশে মোট মৃ’তে’র সংখ্যা হলো ৯ জন। গতকাল শনিবার (৪ এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানায়, দেশে করোনাভাইরাসে ৮ জন মা’রা গেছেন, ৩০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং আক্রান্ত মোট ৭০ জন।

দেশে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি দেশের মানুষের কাছে প্রতিদিন তুলে ধরেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এদিকে, করোনার প্রভাবে বিশ্ব পরিস্থিতি ক্রমন্বয় খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে।

মৃ’তে র সংখ্যা নিয়মিত বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৮শ’ মানুষের প্রা’ণ কেড়ে নিলো নোভেল করোনা’ভা’ইরাস। এনিয়ে রবিবার (৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মোট মৃ’তে’র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৭১৬ জনে। আ’ক্রা’ন্তে’র সংখ্যা ১২০১৯৩৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২৪৬৬৩৪ জন।

শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সংক্রমিত তিন লাখের বেশি মানুষ। শনিবার দিনের হিসেবে সর্বোচ্চ প্রাণহানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন করে মা’রা গেছেন এক হাজার ৩৩১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃ’তে’র সংখ্যা দাঁড়ালো সাড়ে আট হাজারে।

এছাড়া ফ্রান্সে মা’রা গেছেন এক হাজার ৫৩ জন। মোট মৃ’ত্যু সাড়ে সাত হাজার ছাড়িয়েছে দেশটিতে। প্রাণহানি ও সং’ক্র’মণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে যুক্তরাজ্যেও। টানা দু’সপ্তাহ রেকর্ড প্রা’ণ’হা’নি ও সং’ক্র’মণের পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে ইতালি-স্পেনে। দেশ দু’টিতে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১৪শ’র বেশি মানুষের। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২০৩ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাসটি। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু নিউইয়র্কে হিসেব করলে ঘণ্টায় মা’রা যাচ্ছেন ২৩ জন মানুষ।

আ’ক্রা’ন্ত’দের মধ্যে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। করোনা’ভা’ইরাস নিয়ে গবেষণা করা যুক্তরাষ্ট্রের হপকিন্স ইউনিভার্সিটির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সি।

খবরে বলা হয়, আরোগ্যদের সংখ্যায় চীনা নাগরিকরা সবচেয়ে বেশি। এ পর্যন্ত করোনা’ভা’ইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দেশটির ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন। চীনের পর আক্রান্তদের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। ইউরোপের এ দেশটির ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এছাড়া জার্মানির ২৬ হাজার, ইতালির ২০ হাজার, ইরানের পৌনে ২০ হাজার, ফ্রান্সের সাড়ে ১৫ হাজার, যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার আক্রান্ত মানুষ করোনা’ভা’ইরাস থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।