আযানের মধুর ধ্বনি শুনতে ভিড় জমিয়েছিলেন অমুসলিমরাও !

3167

আযানের মধুর ধ্বনি শুনতে ভিড়- পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুর ধ্বোনি আজানের ধ্বোনি। এর চেয়ে মধুর আর কিছু হতে পারেনা। যুগে যুগে অনেক অমুসলিম আজানের এই ধ্বোনি শুনে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।

ইউরোপিয়ান দেশ নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডমের নিউ ওয়েস্ট জেলায় অবস্থিত ব্লু-মস্ক বা নীল মসজিদে আজানের মধুর ধ্বনি শুনতে ভিড় জড়াচ্ছেন অমুসলিমরাও।

গত ৮ নভেম্বর থেকে এই মসজিদে উচ্চস্বরে আজান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিচালনা কমিটি। কিন্তু মুসলিম-বি’দ্বে’ষী’রা এটা জানতে পেরে মাইকে আজান বন্ধ করতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

তাই আগের মতোই আরও কয়েক দিন মুখে আজান দেয়া হচ্ছিল। মুসলিমরা এ বিষয়ে পালটা পদক্ষেপ না করলেও স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছিল।

পরে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামত করে উচ্চস্বরে জুম্মার আজান দেয়া হয়। এ দিনই প্রথম এই মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি বহুদূর পর্যন্ত পৌঁছয়।

আজান বা নামাযের জন্য মোয়াজ্জেনের আহ্বান কেমন লাগে, তা শুনতে এ দিন মসজিদের কাছে অনেক অমুসলিম জড়ো হন। অনেকেই মোবাইলে আযানের অডিও রেকর্ড করেন। কেমন লাগল আজান? জবাবে তারা বলেন, সত্যিই এক অনন্য অনুভূতি।

এই আবেগময় মুহূর্ত সারাজীবন মনে থাকবে। কেউবা বলেন, মাঝেমধ্যে মোবাইলে রেকর্ড করা আযান শুনব। মসজিদের প্রধান মাতাওয়াল্লি নূরুদ্দিন ওয়াইল্ডম্যান বলেন, মাইকের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে কিছু দু”ষ্কৃ”তি”কা”রী।

স্থানীয় অমুসলিমদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক। তারা এ জ”ঘ”ন্য কাজ করতে পারেন না বলেই আমাদের বিশ্বাস। তাই তো তারা আজ জুমার আজান শুনতে সব কাজ ফেলে এখানে এসেছেন। এজন্য তাদেরকে মসজিদ পরিচালনা কমিটি এবং মুসলিমদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

উল্লেখ্য, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের এই দেশটিতে প্রায় ৫০০ মসজিদ রয়েছে। অধিকাংশতেই বিনা মাইকে আজান হয়। কিন্তু রাজধানী শহর আমস্টারডমে অবস্থিত এই দৃষ্টিনন্দন ও গুরুত্বপূর্ণ মসজিদের একটা প্রভাব রয়েছে। সে দিকটা বিবেচনা করেই এখানে মাইকে আজান চালু হয়।

১৯৮০ সালে সংবিধান সংশোধন করে সে দেশের সরকার সব মানুষকে নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্ম পালনের অধিকার দেয়।

ওজন কমাতে খেয়ে দেখুন পাকা পেঁপের বীজ

অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ওজনের কারণে শরীরে নানা রোগ হয়ে থাকে। তাই অতিরিক্ত ওজন থাকলে অবশ্যই তা কমিয়ে ফেলতে হবে।

যদিও জাঙ্ক ফুড নির্ভর জীবনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা বেশ কষ্টকর। অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের প্রয়োজন রয়েছে। তবে ওজন কমাতে খেতে পারেন পাকা পেঁপের বীজ।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পাকা পেঁপেতে রয়েছে ওজন কমানোর ওষুধ! তবে এখন প্রশ্ন হলো কীভাবে পাকা পেঁপের বীজ ওজন কমায়। পাকা পেঁপের বীজ খেলে শরীর থেকে ট”ক্সি”ন দূর হয়, বিপাক ক্রিয়ার সাহায্য করে, পেট ফাঁপা রোগ দূর করে এবং খাবার ভাল করে হজম করতে সাহায্য করে।

এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। এই কারণে পাকা পেঁপের বীজ খেলে ওজন দ্রুত কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

পুষ্টিবিদ রেশমি রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, যে ফল বা খাবার যা বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে দেয়, সেগুলোই ওজন কমাতে সাহায্য করে।