আমি যীশুকে খুঁজতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছি মুহাম্মাদ (সা.) কে: লরেন বুথ

2116

২০১০ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন লন্ডনের প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক ধর্মান্তরিত মুসলিম লরেন বুথ।

তিনি বলেন, আমি সেখানে যীশুকে খুঁজতে গিয়েছি কিন্তু মানুষের আচরণের মধ্যে আমি মোহাম্মদ স. কে খুঁজে পেয়েছি।

আমি তিনি তার জীবনের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন তার আ’ত্মজীবনী ভিত্তিক বই ‘ফাইন্ডিং পিস ইন দ্য হলি ল্যান্ড’ এ ।

বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন এবং তার উত্তর ও দিয়েছেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি যিশুর উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলিনি বরং ফিলিস্তিন সফরের সময় তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে”

-ভাইরালবিডিনিউজ২৪ডটকম সেখানে এমন এক সত্তা খুঁজে পেয়েছি যা এর আগে সে সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।

আমি মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে জানতাম না। কারা আরব ভূমিগুলো দখল করে আছে সে সম্পর্কেও কিছু জানতাম না। আমি আরবদের সম্পর্কে ভীত ছিলাম।

ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে লেখালেখি করতে চাওয়ার কথা জানান লরেন বুথ, যার মাধ্যমে তাদের বার্তা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছায়।

তিনি আরো বলেন, গাজা উপত্যকায় মানুষের চরম সমস্যার জীবনযাপন সম্পূর্ণভাবে ইসরাইল কর্তৃক কৃত্রিমভাবে তৈরি।যা স্পষ্টতই যু’দ্ধা’পরাধ।

২০১৮ সালের রমজান মাসে গাজা সফরের সময় তিনি সেখানে এক অনাবিল শা’ন্তি অনুভব করেন বলে জানান । সে সম্পর্কে তিনি বলেন, যদি এটি বিশ্বাস হয় তবে আমি তাতে প্রবেশ করতে চাই।

১৯৯৭ সালে থেকে সাংবাদিকতা করে আসা লরেন বুথ সংবাদ সংস্থা সিএনএন, আল জাজিরা, ডেইলি মেইলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় গণমাধ্যমে লেখালেখি করেন।

আরো পড়ুন: তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম দম্পতির হাত দিয়েই করোনার প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কার !

তুর্কি বংশোদ্ভূত মুসলিম দম্পতির হাত দিয়েই করোনার প্রথম ভ্যাকসিন আবিষ্কার আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োনটেক ও মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখিয়েছে৷

বায়োনটেকের প্রতিষ্ঠাতা তুরস্ক বংশোদ্ভূত এক দম্পতি৷ জার্মান শহর মাইনৎসে ১২ বছর আগে বায়োনটেকের পথচলা শুরু হয়৷

এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ উগুর জাহিন এবং তার স্ত্রী ইমিউনোলজিস্ট উজলেম টুরেচি৷ তারা দুইজনই তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক৷

এই দম্পতির তৈরি বায়োনটেকে এখন কাজ করে ১৫শ কর্মী৷ ৫৫ বছর বয়সি জাহিনের জন্ম তুরস্কে৷ বাবা-মা’র সঙ্গে একসময় জার্মানিতে চলে আসেন তিনি৷

মেডিসিন এবং গণিত নিয়ে পড়ালেখা করেন কোলোন বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ জাহিন কোলোন এবং হামবুর্গে দীর্ঘদিন চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন৷

এরপর জারল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন৷ ১৯৯২ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একজন চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে সেখানে কাজ করেন৷ মলিকিউলার মেডিসিন এবং ইমিউনোলজি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন৷

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যাপারে তিনি সবসময় আগ্রহী ছিলেন আর এ কারণেই ২০০৮ সালে বায়োনটেক প্রতিষ্ঠা করেন৷ ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের জন্য এখানে মনোনিবেশ করেন তিনি৷ ৫৩ বছর বয়সি টুরেচির জন্ম জার্মানিতে৷ কিন্তু তার বাবা-মা তুর্কি৷

হামবুর্গে পড়ালেখা করে, সেখানেই চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি৷ ইমিউনোলজিস্ট টুরেচি ক্যান্সার রোগীদের থেরাপি দিয়ে থাকেন৷ ২০০০ সালের জানুয়ারিতে জাহিন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম জানতে পারেন৷ তখনই তাঁর আশঙ্কা হয় এটি মহামারি রূপ নেবে৷

সেসময়ই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ জাহিন জানিয়েছেন, এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্তত এক বছর স্থায়ী হবে৷ যৌথ বিবৃতিতে ফাইজারের চেয়ারম্যান ও তিনি জানিয়েছেন,

‘টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার প্রাথমিক ফলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে এটি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করতে পারে৷” যাদের আগে কখনও করোনা সংক্রমণ হয়নি, এমন মানুষের ওপর চালানো পরীক্ষায় দেখা গেছে যে টিকা দেয়ার পর শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেও তাদের কোভিড-১৯ হয়নি৷

জুলাইয়ের শেষ থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় পর্যায়ের এ ট্রায়ালে ৪৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন৷ মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এফডিএর অনুমতির জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠান দু’টি৷

ফাইজার ও বায়োনটেক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা সরবরাহে এরই মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থের চুক্তি সই করেছে৷ চুক্তি সই হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, জাপানের সঙ্গেও৷

২০২০ সালেই প্রতিষ্ঠান দু’টি পাঁচ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করবে। ২০২১ সালে আরো ১৩০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিজার৷

সূত্র : ডয়েস ভেলে