অবাধে ঘোরাফেরা করা যুবকের করোনা শনাক্ত, ৩ বন্ধুর বাড়ি লকডাউন

2512

তিন বন্ধুর বাড়ি লকডাউন- জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় ঢাকা থেকে আসা প্লাস্টিক কারখানার কর্মরত এক যুবকের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভা’ইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রবিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের করোনা পরীক্ষাগারের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই যুবক উপজেলার বীর ঘোষের পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর জেলায় মোট ১৬ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এই প্রথম একজন করোনা ভা’ইরাস আ’ক্রা’ন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নসহ মধ্যেরচর এলাকার সাথে থাকা তিন বন্ধুর বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

জানা গেছে, উপজেলার বীর ঘোষের পাড়া এলাকার বাসিন্দা ৩০ বছর বয়সী অবিবাহিত ওই যুবক ঢাকার বনানীর একটি প্লস্টিক কারখানায় কর্মরত। তিনি ঢাকা বিমানবন্দরের আশকোনায় তিন বন্ধুর সাথে থাকতেন। গত ২৬ মার্চ ছুটিতে ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়িতে আসেন।

বাড়ি এসে অবাধে ঘোরাফেরা এবং লোকজনের সাথে উঠাবসা করতেন। এক সপ্তাহ পার হলে তার শরীরে প্রচণ্ড জ্বর, কাশি ও গলাব্যথাসহ করোনা উপসর্গ দেখা দিলে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে জামালপুর স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি জানতে পারে।

এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গত ৪ এপ্রিল তার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরদিন ৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় হাসপাতালের ল্যাব কর্তৃপক্ষের পজিটিভ রিপোর্টের ভিত্তিতে আ’ক্রা’ন্তে’র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সহকারী সিভিল সা’র্জ’ন ডা. একেএম শফিকুজ্জামান।

ব্রিটেনের করোনায় মা ও ছেলেসহ ৩০ বাংলাদেশীর মৃ’ত্যু

করোনা’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে গত তিন দিনে আরো ৮ ব্রিটিশ বাংলাদেশী মৃ’ত্যু’ব’র’ণ করেছেন। শনি ও রোববার বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় তাদের স্বজনরা মৃ’ত্যু’র খবর প্রকাশ করে। সরকারি হিসেবে আলাদাভাবে বাংলাদেশীদের মৃ’ত্যু’র খবর প্রকাশ না করলেও স্যোশাল মিডিয়া ও বাংলাদেশী কমিউনিটি মিডিয়ার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্রিটেনে এ পর্যন্ত ৩০ জন বাংলাদেশী মৃ’ত্যু’ব’র’ণ করেছেন।

সর্বশেষ যে ৮ জন ই’ন্তে’কা’ল করেছেন তারা হচ্ছেন : লুটন শহরে চার দিনের ব্যবধানে একই পরিবারে মা ও ছেলে মৃ’ত্যু’বরণ করেছেন মহামারি করোনায়।

গত ১ এপ্রিল ছেলে দীবুল আহমদ ( ৫৪) ইন্তেকাল করেন। ছেলের মৃ’ত্যু’র ৪ দিন পর ৫ এপ্রিল মারা যান দীবুল আহমদের মা। শুধু মা-ছেলের মৃ’ত্যু’ই শেষ নয়, আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন দীবুল আহমদের পিতা হাসান আহমদ এবং অন্য তিন ছেলে।

ব্যবসায়ী দীবুল আহমদের দেশের বাড়ী সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম ইউপির ভাংগী গ্রামে। তিনি ব্রিটেনে ও বাংলাদেশে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। তার মৃ’ত্যু’তে লুটনে বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও শো’কে’র ছায়া নেমে আসে।

এদিকে গ্রেটার ম্যানচেষ্টারস্থ হাইডের বাসিন্দা হাইড জামে মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারের বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী মনসুর খান ৩ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ই’ন্তে’কা’ল করেন। তার দেশের বাড়ী সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার আসার কান্দি ইউনিয়নের তিলক গ্রামে। হাজী মনসুর খান হার্টে সমস্যায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি করোনায় আ’ক্রা’ন্ত হলে তিনি মা’রা যান । মৃ’ত্যু’কা’লে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃ’ত্যু’তে কমিউনিটিতে শো’কে’র ছায়া নেমে আসে।

শনিবার রাতে করোনা’ভা’ইরাসে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে মা’রা গেছেন গ্রেটার ম্যানচেস্টারের হাইডের বাসিন্দা মোঃ আকিকুর রহমান। তিনি টেইমসাইড জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে শুধু হাইডে ৫ জন বাংলাদেশি করোনায় মা’রা গেছেন। ম’র’হু’ম আকিকুর রহমানের দেশের বাড়ী সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর গ্রামে।