৬০ বছর বয়সেও অপূর্ব যুবতীর মতো থাকে যে গ্রামের নারীরা

2150

হুনজা ভ্যালি – বয়সের ছাপ কমাতে নানা উপায় অবলম্বন করা হয়। পুরুষ-নারী সবার মধ্যেই এই প্রবণতা রয়েছে। তবে নারীদের মধ্যে ত্বকের যত্ন নেয়ার প্রবণতা তুলনামূলক বেশি।

শুধু ত্বকই নয়, তারুণ্য ধরে রাখার আগ্রহের শেষ নেই মানুষের। এ পৃথিবীতে ‌যদি এমন স্বর্গের খোঁজ মেলে যেখানে কখনো মানুষ বুড়িয়ে যাবে না তাহলে তো আর কথাই নেই।

পৃথিবীতে এমন গ্রাম রয়েছে যেখানকার মানুষের তারুণ্য ধরে রাখতে বেগ পেতে হয় না। খুব বেশি রুপ চার্চারও দরকার পড়ে না। সত্যিই পৃথিবীতে এমন এক জায়গা আছে ‌যেখানে থমকে যায় বয়স।

এই গ্রামে প্রাকৃতিকভাবেই দীর্ঘ বয়স পর্যন্ত তরুণ থাকে বসবাসকারীরা। ৬০ বছরেও নারীরা সন্তান ধারণ করতে পারে। পুরুষরাও বিয়ের উপযোগী থাকে।

পাকিস্তানে দখলে থাকা কাশ্মীরে একটা অংশ হলো হুনজা ভ্যালি। এই স্থানকেই বলা হয় ভূস্বর্গ আর বলা হয় পৃথিবীর ছাদ। সমুদ্রপৃষ্ট কয়েক হাজার ফিট উপরে হিমালয়ে কোলে পাহাড় ঘেরা এই ভ্যালির সৌন্দর্য আর নির্মল পরিবেশ সবাইকে টেনে নিয় যায়।

গিলগিট-বালটিস্তান প্রদেশের হুনজা ভ্যালিতে গেলে ‌যুবতি কন্যা তার মা আর দিদিমাকে একসঙ্গে দেখলে আপনি গু’লিয়ে ফেলবেন।

এই গ্রামে সত্তরেও টগবগে ‌যুবক থাকেন এখানকার মানুষ। তাই এই জায়গাকে বলা হয় জন্নত বা স্বর্গ। দেশ বিদেশের বহুলোক ভিড় জমায় এখানে।

হুনজা ভ্যালিতে বসবাসকারীরা প্রায় ১২০ বছর সুস্থ শরীরে বাঁচে। মৃ’’ত্যু”র আগের দিন পর্যন্ত থাকে কর্মক্ষম। এর প্রধান কারণ নির্মল প্রকৃতি আর সঙ্গে এই জীবন‌যাত্রা মান।

গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে যুবতী মেয়েদের স’ঙ্গ’মে বা’ধ্য করাই ভুটানের যে গ্রামের প্রথা

ভুটান। এই দেশটার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে প্রকৃতি, পাহাড়, প্যাগোডার ছবি। এই দেশটি বিশ্বের সবথেকে সুখী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে এই ভুটানেই এমন এক আ’জ’ব রীতির প্রচলন রয়েছে যা শুনলে আপনি অবাক হতে বাধ্য হবেন। এই আজব রীতির নাম হল বোমেনা।

বোমেনা হল গভীর রাতের এক শিকার। ভুটানের একদম প্রত্যন্ত জায়গাগুলিতেই এই রীতি প্রচলন আছে। এই প্রথা হল, পুরুষেরা রাতের অন্ধকারে মেয়ের সন্ধানে ঘোরে। মেয়েদের ঘরে ঢুকে যায় ও তাদের শা’রী’রি’ক সম্পর্কে বা”ধ্য করে।

যদি পরের দিন সকাল অবধি ওই পুরুষ ওই মহিলার ঘরেই থাকে, তাহলে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু যদি ভোরের আলো ফোটার আগেই ওই পুরুষ ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যায়, তাহলে মহিলার পরিবারের তরফ থেকে কোনও দোষ দেওয়া যায় না। এহেন আ’জ’ব প্রথার কথা শুনে সকলের অবাক হওয়া স্বাভাবিক।

এছাড়া এরকম অদ্ভুত প্রথার জন্য অনেক সময়েই গ’র্ভ’ব’তী হয়ে পড়েন অনেক মহিলা। তাঁদের সিঙ্গল মাদার হিসেবে থাকতে হয়। কিন্তু সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে কোনও প্র’তি’বা’দ জানাতে পারেন না তাঁরা। তবে পরিবার পাশে থাকায় মহিলাদের সন্তান মানুষ করতে কোনও অসুবিধা হয় না।