
হয়তো আপনার স্ত্রী খুব খারাপ সময় পার করছে বা হয়তো সে ভালোই রয়েছে। যাই হোক না কেন, সংসার ঠিকঠাক রাখতে হলে স্ত্রীকে সুখি রাখাটা কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
রুটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সংসারে স্বামীর তুলনায় স্ত্রীকে সুখী রাখা বেশি কঠিন।































































আপনার কী মনে হয়? তাই নয় কি? তাই, আজ আপনাদের জানাব স্ত্রীকে সুখী রাখার কিছু কৌশলের কথা। কৌশলগুলো লেখা হয়েছে লাভ লানিং ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে।
১. ফুল কিনুন:- এটা আসলে কোনো ‘রকেট সায়েন্স’ নয়। তবে ফুল, চকলেট বা ছোট ছোট কোনো উপহার স্ত্রীকে দিলে সে কিন্তু খুশিই হয়। সে বুঝবে আপনি তার পছন্দ-অপছন্দের প্রতি যত্নবান।





























































































২. ফোন করুন:- বাজার-সদাই, বাচ্চার স্কুল, টাকা- পয়সা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তো স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে সবসময়ই কথা বলেন। তবে এর বাইরেও তাকে ফোন করুন।
‘হ্যালো’ বলুন বা তাকে বলুন, আপনি তাকে মিস করছেন। দেখবেন, সে খুশি হবে।
৩. তার কথা শুনুন:- সবাই চায় মানুষ তার কথা শুনুক ও তাকে বুঝতে পারুক। মানুষ চায় আসলেই কেউ তার বন্ধু হোক।





























































































আপনিও সে কৌশলটি অবলম্বন করুন। স্ত্রীর কথা শুনুন এবং বোঝার চেষ্টা করুন, হোক না সেটা যত অপ্রয়োজনীয়।
তাকে বিচার করার আগে তার আবেগকে গুরুত্ব দিন। এই অভ্যাসটি কিন্তু স্ত্রীর মন গলাতে কাজে দেবে।
৪. আপনি যত্নবান, বিষয়টি বোঝান আপনি তার প্রতি যত্নবান— এ বিষয়টি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাকে ভালোবাসার কথা বলুন। বিয়ের পর অনেক দম্পতির মধ্যেই এ বিষয়টি আর হয় না।





























































































তবে ‘ আমি তোমাকে ভালোবাসি’- এ ছোট্ট কথাটি সম্পর্কের ভেতরে প্রাণ আনতে সাহায্য করে। তাই লজ্জা ছেড়ে ভালোবাসার কথা বলুন।
৫. ঘরের কাজে সহযোগিতা:- আধুনিক জীবন খুব চাপযুক্ত। এখন ছেলেমেয়ে উভয়েই বাইরে কাজ করে।
সারা দিন অফিস করে এসে ঘরের কাজ করতে গেলে আপনার যেমন ক্লান্ত অনুভব হবে, আপনার স্ত্রীর ক্ষেত্রেও কিন্তু বিষয়টি তাই। তাই ঘরের কাজে স্ত্রীকে সাহায্য করুন।





























































































৬,স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করুন:- আপনি আপনার স্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করলে সে আপনার প্রতি নির্ভর করবে এবং বুঝতে পারবে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এতে সে খুশিও হবে।
৭. জড়িয়ে ধরুন:- জানেন কি জড়িয়ে ধরা মন ও স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে? আমরা যখন কেউ কাউকে জড়িয়ে ধরি তখন মস্তিষ্ক থেকে ভালো অনুভূতির হরমোন বের হয়।
আর এটি আমাদের সুখী করে। তাই স্ত্রীকে প্রায়ই জড়িয়ে ধরুন। এতে সম্পর্ক শক্ত না হলেও, নষ্ট হবে না।





























































































৮. সময় দিন:- বেশির ভাগ দম্পতির সম্পর্কে একটি পর্যায়ে এক ধরনের একঘেয়েমি চলে আসে। এ একঘেয়েমি দূর করতে নিজেদের মধ্যে সময় কাটান।
কোথাও বেড়াতে যান বা বাইরে খেতে যান। প্রায়ই এ কাজগুলো করুন। এ বিষয়টিও আপনার স্ত্রীর মেজাজ ঠাণ্ডা রাখবে।
৯. ‘হ্যাঁ’ বলুন:- এই শব্দটি খুব সহজ। কিন্তু স্ত্রীর মন জয়ের জন্য বেশ উপকারী। তার পরামর্শ বা আইডিয়ার প্রসংশা করুন এবং ‘হ্যাঁ’ বলুন।





























































































আর যদি বিষয়টি আপনার মতের সঙ্গে নাও মিলে তাহলে নরমভাবে ভিন্নমতটি বলুন এবং আপনার মতটি তার মতের তুলনায় কেন ভালো সেটি বুঝিয়ে বলুন। দেখবেন, সে গলে যাবে।
যে গ্রামে বাস করলে মাসে পাবেন ৬৫ হাজার টাকা!
দক্ষিণ ইতালির পাহাড়-পর্বতময় গ্রামগুলোতে জনবসতি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। তাই মানুষকে সেখানে বসবাসের ব্যাপারে আগ্রহী করতে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।





























































































অন্য কোনো এলাকা থেকে এসে এসব গ্রামের যে কোনো একটিতে বসবাস করলেই মাস প্রতি মিলবে ৭০০ ইউরো (প্রায় ৬৫ হাজার টাকা)। তবে এ অর্থ কেবল প্রথম তিন বছরের জন্য দেয়া হবে এবং আগত ব্যক্তিটিতে অবশ্যই ব্যবসা শুরু করতে হবে।
গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামগুলোর জনসংখ্যা অনেক কম। তাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইতালির মোরিস অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট দোনাতো টোমা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমরা তহবিলের যোগান দিলে তা একটি দাতব্য ব্যাপার হয়ে যেত। আমরা আরও বেশি কিছু করতে চাই। আমরা চাই মানুষ এখানে নিজে বিনিয়োগ করুক।’





























































































তিনি আরও বলেন, ‘তারা যেকোনো ধরনের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন। এটা হতে পারে খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ, স্টেশনারি দোকান কিংবা ছোটখাটো অন্য যেকোনো কিছু। আমাদের শহরে মানুষের আনাগোনা বৃদ্ধির উপায় হিসেবে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি।
মোরিসের প্রেসিডেন্ট টোমা আরও ঘোষণা দিয়েছেন, যেসব শহরে ২ হাজারের কম মানুষ বসবাস করে তাদের প্রত্যেকেই প্রতি মাসে ১০ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯৩ হাজার টাকা) করে দেয়া হবে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে।





























































































তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু জনসংখ্যা বৃদ্ধির কোনো ব্যাপার নয়। মানুষের আর অবকাঠামো এবং এখানে থাকার উপায় থাকতে হবে। অন্যথায় তাহলে আমরা এটা বন্ধ করে দিব গত বছর ধরে আমরা যেটা শুরু করেছিলাম।’
ইতালির জাতীয় পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মলিস অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার।
গত কয়েক বছর ধরে দেশটির যেসব অঞ্চলে মানুষের বসতি কমে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এই অঞ্চল। ২০১৪ থেকে এখানকার ৯ হাজারের বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে চলে গেছে।