সর্ব-রোগের মহৌষধ কালোজিরার ২০ গুণ…

1957

কালোজিরার ২০ গুণ- আমাদের দেশে কালোজিরা সাধারণত মশলা হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। শুধু খাবারের স্বাদ বাড়াতেই নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরার ব্যবহার হয়।

কালোজিরার বীজ থেকে এক ধরণের তেল হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

এতে আছে ফসফেট, আয়রন এবং ফসফরাস। এছাড়াও কালোজিরা ডায়বেটিকস, হাঁপানি থেকে শুরু করে নানা রোগের হাত থেকে মানব-দেহকে রক্ষা করে ৷

তাই অনেকে একে সর্ব-রোগের মহৌষধ বলে উল্লেখ করে থাকেন। তাহলে চলুন জেনে কালোজিরার খাওয়ার উপকারিতা গুলো।

১- বদহজম: নিয়মিত পেট খারাপের সমস্যা থাকলে কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

২- রোগ প্রতিরোধ: মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে কালোজিরা। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে।

এতে করে যে কোনও জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

৩- শ্বাসকষ্ট: যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা দূর করে।

৪- সর্দি: প্রচণ্ড সর্দি হয়ে মাথা যন্ত্রণা হচ্ছে ? এসময় কিছু কালোজিরা একটা পরিষ্কার কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে শুঁকতে থাকুন। এতে বেশ আরাম পবেন। সর্দিও কমে যাবে।

৫- মাথাব্যাথা: প্রচন্ড মাথা ব্যথায় কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে উপকার পাবেন।

৬- চুলকানি সারায়: কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানিতে উপকার হয়।

৭- ডায়াবেটিক কমায়: কালোজিরা ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। এতে করে কালোজিরা ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।

৮- স্মরণশক্তি বাড়ায়: স্মৃতিভ্রংশ ও স্মরণশক্তির দুর্বলতায় কালোজিরে খুব কার্যকর।

৯- প্রস্রাব পরিষ্কার: পরিমাণমতো কালোজিরা খেলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়।

১০- দৈহিক বৃদ্ধি: শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর অভ্যাস করলে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে।

১১- যৌ ন দুর্বলতা: কালোজিরা চুর্ণ ও অলিভ অয়েল, ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাঁটি মধু একসঙ্গে মিশিয়ে সকালে খাবারের পর এক চামুচ করে খান। এতে গোপন শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

১২- চুলপড়া: লেবু দিয়ে সব মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তার পর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পূর্ণ মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এতে এক সপ্তাহেই চুলপড়া কমে যাবে।

১৩- চোখে সমস্যা: রাতে ঘুমানোর আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরুতে কালোজিরার তেল মালিশ করুণ। এক কাপ গাজরের রসের সঙ্গে এক মাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।

১৪- উচ্চ রক্তচাপ কমায়: যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন, তখনই কালোজিরা খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে। এ ছাড়া কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। এটি ২-৩ দিন পরপর করা যায়।

১৫- জ্বর সারায়: সকাল-সন্ধ্যায় লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল চামুচ কালোজিরা তেল পান করুণ। আর কালোজিরার নস্যি গ্রহণ করুন।

১৬- স্ত্রী-রোগ: প্রসব ও ভ্রুণ সংরক্ষণে কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার খান।

১৭- সৌন্দর্য বৃদ্ধি: অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে মুখে মেখে এক ঘণ্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন। ত্বক হবে উজ্জ্বল ও মসৃণ। নিয়মিত ব্যবহারে ফেসিয়ালের চেয়েও ভালো ফল মিলবে।

১৮- বাত: পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এ ছাড়া মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

১৯- দাঁত শক্ত করে: দই ও কালোজিরার মিশ্রণ প্রতিদিন দুবার দাঁতে ব্যবহার করুন। এতে দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি ও রক্তপাত বন্ধ হবে।

২০- ওজন হ্রাস: যারা ওজন কমাতে চান, তাদের খাদ্য তালিকায় উষ্ণ পানি, মধু ও লেবুর রসের মিশ্রণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখন এই মিশ্রণে কিছু কালোজিরা পাউডার ছিটিয়ে দিন। পান করে দেখুন, দারুণ উপকার পাবেন।

জেনে নিন, ভালো ঘুমের জন্য যা করবেন…

ঘুম আমাদের সবার জন্যই সমান গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকমতো ঘুম না হলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এছাড়া এর দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন প্রভাব রয়েছে। এমনকি একাধিক গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে নিয়মিত না ঘুমালে আয়ু কমে যেতে পারে।

এজন্য সবারই ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। দেখে নিন ভালো এবং পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য কী করবেন-

১- ঘুমের নির্ধারিত সময় মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

২- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

৩- অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন নেয়া বন্ধ করতে হবে।

৪- ভালো ঘুমের জন্য আরামদায়ক বিছানা ও বালিশ ব্যবহার করুন।

৫- বেডরুমের আদর্শ তাপমাত্রা, সাউন্ড ও লাইট নিশ্চিত করুন।

৬- বিছানায় যাওয়ার আগে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বন্ধ করুন।