যে সব লক্ষণে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে কি না…

1427

যে সব লক্ষণে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর- ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে কয়েক দিনের মধ্যেই সেই ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়।

বেশির ভাগ ডেঙ্গু জ্বর ছয়-সাত দিনের মধ্যে সেরে যায়। তবে হেমোরেজিক বা রক্তক্ষরণজনিত ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেশি। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না নিলে ঝুঁকি থাকে।

আসুন জেনে নেই যে সব লক্ষণে বুঝবেন ডেঙ্গু জ্বর-

১. প্লাটিলেট কমে যায়। শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া ও চোখ ব্যথা, চোখ থেকে পানি পড়া, অরুচি বা বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দেয়।

২. বিভিন্ন স্থানে হামের মতো র‌্যাশ হতে পারে।

৩. হেমোরেজিক বা রক্তক্ষরণজনিত ডেঙ্গু হলে দাঁত ও মাড়ির গোড়া থেকে, নাক দিয়ে বা বমির সঙ্গে, পায়ুপথ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান দিয়ে র ক্ত পাত হতে পারে। গায়ে র ক্ত জমে ছিটা ছিটা দাগ থাকতে পারে।

চিকিৎসা-

১. রোগীকে পরিপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।

২. যথেষ্ট পরিমাণ পানি বা তরল খাবার গ্রহণ করতে হবে।

৩. জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ ছাড়া ব্যথানাশক অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাকজাতীয় ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। এতে রক্তক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে।

৪. র ক্ত ক্ষরণের লক্ষণ দেখামাত্র হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।

৫. কারও ডেঙ্গু জ্বর হলে মশারি ব্যবহার করে রোগীকে আলাদা রাখুন। এতে অন্যরাও রক্ষা পাবে।

কাঁচা আদা খাওয়ার যত উপকারিতা…

ওষধি গুনাবলী সম্পন্ন মসলাগুলোর তালিকা তৈরী করা হলে নিঃসন্দেহে সেখানে আদার নাম তালিকার প্রথম দিকেই থাকবে। মানুষ একে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া উপাদান হিসেবে বহুকাল ধরে ব্যবহার করে আসছে। আদাতে আছে শক্তিশালী এন্টি-এক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্লামেটরী ও আরো অনেক উপকারী ভেষজ উপাদান।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে ৩০ দিন একটানা আদা খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা। চলুন জেনে নেই আদার নানা উপকার।

হজমের সমস্যা রোধে- আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। এতে খাবার ও পানি খুব সহজে পেটে নড়াচড়া করতে পারে।

বমি রোধে- গর্ভাবস্থায় বমি কমাতে আদা খুব উপকারী। এ ছাড়া মর্নিং সিকনেস প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।

ব্যথা কমাতে- পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর। আদা ২৫ ভাগ পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে।

প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে– ২৪৭ জনের একদল লোকের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, আদা খুব দ্রুত গাঁটের ব্যথা কমায় এবং গাঁটের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে- ৮৫ জনের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিন গ্রাম আদার গুঁড়ো খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়- প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।

আদা ক্যানসাররোধী- আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে- আদার জিনজেরল উপাদান ইনসুলিন উৎপাদনকে সক্রিয় করে এবং এভাবে এটি প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

এটি শুধু ডায়াবেটিস দমন করে না বরং প্রতিরোধ করে, এবং ডায়াবেটিসের কারণে ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি দেখা দিলে তারও সমাধানে সাহায্য করে।

ঠান্ডা, সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা- আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা অথবা জ্বর হলে অথবা খুশখুশে গলা ব্যথা হলে গরম পানিতে আদার রস, মধু, লেবু ও গোলমরিচের গুঁড়ার সাথে মিলিয়ে খেলে দ্রুত উপশম হয়।

মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে- আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমায়। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।