মুহূর্তেই ভাইরাল হলো মহাকাশ থেকে তোলা ‘ক্বাবা’র ছবি…

1855

মহাকাশ থেকে ‘ক্বাবা’র ছবি তুললেন নভোচারী- গত ২৫ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রথম নভোচারী হিসেবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে অবস্থান করছেন। নভোচারীর নাম হাজজা আল মানসুরী। এবং গত ২৬ সেপ্টেম্বর স্পেস স্টেশন থেকে তিনি ইসলামের পবিত্রতম স্থান মসজিদ আল হারামের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

ভূ-পৃষ্ট হতে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে মহাকাশ স্টেশন হতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা মক্কার মসজিদ আল হারামের এ ছবি মুহূর্তেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

হাজজা এই ছবিটির ক্যাপশনে পবিত্র নগরী মক্কা ও কাবার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিখেছেন ‘এটি এমন একটি জায়গা যা সারা বিশ্বের প্রতিটি মুসলমানের হৃদয়ে বাস করে এবং তারা এটির দিকে মুখ করেই সালাত আদায় করে।’

আমিরাতের প্রথম সব মিলিয়ে ২৪০তম দর্শনার্থী নভোচারী হিসেবে হাজজা আল মানসুরি মহাকাশে গেছেন। আর মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর তালিকায় ১৯তম দেশ হিসেবে নাম লিখিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, আরব দেশ গুলোর মধ্যে যা প্রথম।

এখন পর্যন্ত যে কয়জন মুসরিম মহাকাশে গিয়েছেন তাদের একজন গর্বিত সদস্য হলেন হাজ্জা আল-মানসুরি। মু’সলিম’দের মধ্যে যারা মহাকাশে গেছেন, তারা হলেন-

১.সুলতান বিন সালমান আল সৌদ। ২.মুহাম্মাদ ফারিস। ৩.মুসা মানারোভ।
৪.আব্দুল আহাদ মুহমাদ। ৫.তুক্তার আবাকিরভ। ৬.তালগাত মু’সাবেজভ। ৭.সালিহ’জান শারিপভ। ৮.আনুশেহ আনসারি। ৯.শায়খ মুজাফফার শোকর। ১০.আইদান আইমবিটভ। ১১.হাজ্জা আল-মানসুরি।

উল্লেখ্য যে, এ ১১ জন মুসলিম মহাকাশে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে দেখেছেন পবিত্র নগরী মক্কা ও কাবা শরিফ। মুসলিম মহাকাশগমণ নিঃসন্দেহে আনন্দ ও গর্বের। যেখানে গিয়েও তারা ভুলে না নিজেদের পবিত্র ধর্ম ইস’লাম ও ইস’লামের তীর্থ ভূমি পবিত্র কাবাকে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া প্রথম এই নভোচারী হাজ্জা আল-মানসুর গত ৩ অক্টোবর সকাল ১১টা ৩৪ মিনিটে কাজাখিস্তানে বাইকনুর কসমোড্রোম স্পেস বেস-এ ফিরে আসার কথা রয়েছে।

গ্রিসে মুসল্লিরা ১৮০ বছর পর মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি পেলেন !

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের মুসলিমরা দীর্ঘ ১৮০ বছরের অপেক্ষার পর এবার মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই এথেন্সের প্রথম সরকারি মসজিদে নামাজ পরবেন মুসুল্লিরা। গত শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রী।

২০১৬ সালে গ্রিসের পার্লামেন্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই মসজিদটি নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এরপর শুরু হয় মসজিদ নির্মাণকাজ। শিক্ষা ও ধর্মমন্ত্রী কোস্টাস গাভরোগলু শুক্রবার গ্রিসের শিল্প এলাকা এলিওনাসে মসজিদটির নির্মাণস্থলে গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখেন।

এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, ‘এথেন্স মসজিদের ইমাম খুব শিগগিরই এখানে প্রথম নামাজটি পড়াবেন। এজন্য মুসলিমদের বড়জোর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ মসজিদটিতে সাড়ে তিনশ’ মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন।

মিনারবিহীন এই স্থাপনাটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় সোয়া ৮ কোটি টাকা। মিনার না থাকলেও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদটি পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত এথেন্সের মুসলিমরা। এথেন্সের শিয়া সম্প্রদায়ের মুখপাত্র আশির হায়দার বলেন, ‘এটা একটা স্বপ্নপূরণের মতো।

গ্রিস রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এথেন্সের মুসলিমদের জন্য একটা চমৎকার উপহার।’ ১৮৩৩ সালে অটোমানদের হাত থেকে গ্রিস মুক্ত হবার পর এথেন্সে আর কোনো মসজিদ ছিল না। বর্তমানে বৃহত্তর এথেন্সে প্রায় তিন লাখ মুসলিমের বসবাস।

১৮৯০ সালে গ্রিসের সংসদে এথেন্সে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব গৃহীত হলেও তা নানা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে বাস্তবায়িত হয়নি। ‘আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে অবশেষে আমাদের একটি মসজিদ হল যেখানে আমরা নামাজ পড়তে পারব, জড়ো হতে পারব এবং আমাদের নিজস্ব বিষয়গুলো আলোচনা করতে পারব,’ বলছিলেন মসজিদের ইমাম জাকি মোহামেদ। এ

থেন্স হচ্ছে একমাত্র ইউরোপের একমাত্র শহর যেখানে কোনো মসজিদ ছিলো না। এতদিন অস্থায়ী ও ব্যক্তিগত জায়গায় এথেন্সের মুসুল্লিরা নামাজ আদায় করতেন।

মুসলমানদের বসবাস হাজার ভাগের এক ভাগও নয়, বরং তার চেয়েও কম। প্রকাশ্যে ম দ পান ও খোলামেলা পোশাকের অবাধ বিচরণে অন্যতম কমিউনিজমের দেশ কিউবা। যেখানে এখনো শুকর হচ্ছে জাতীয় খাবার। সেখানে শূন্যের কোটা থেকে ১০ হাজার মুসলিমের বসবাস।

পুরোপুরি ইসলাম মেনে চলায় কড়াকড়ি থাকা সত্বেও নারীরা স্বচ্ছন্দে হিজাব কিংবা বোরকা পরতে পারছে।

দেশটির রাস্তায় দেখা মেলে হিজাব ও বোরকা পরিহিত নারীর নিরাপদ পথচলা। বর্তমান সময়ে কমিউনিজমের সুঁতিকাগার হিসেবে পরিচিত ফিদেল কাস্ত্রোর দেশ কিউবার রাজধানী হাভানা শহরের মনোরম পরিবেশে ধর্মীয় পোশাক বোরকা ও হিজাব পরে নারীদের হাটতে দেখা যায়।

কিউবার মোট জনসংখ্যা মাত্র ০.১ শতাংশ মানুষ মুসলিম। ইসলামি নিয়ম-নীতি পালনে বাধা না থাকলেও পুরো দেশে মাত্র একটি মসজিদ থাকায় এবং হালাল খাবারের পর্যাপ্ত দোকান না থাকায় ইবাদত-বন্দেগিতে মুসলিম নারী-পুরষদের কিছুটা অসুবিধা ভোগ করতে হয়। এ অসুবিধার মাঝেও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষ ধীরে ধীরে ইসলামের পতাকা তলে আশ্রয় নিচ্ছে।