পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার ১১টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা !

2007

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। নামাজ হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম।

প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কিন্তু অনেকেই জানেন না নামাজ সাস্থের জন্য অনেক উপকারী।

নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বেশকিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাড়াচাড়া হয় যা এক প্রকার ব্যায়াম। এই ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। চলুন জেনে নেই নামাজ পড়ার ১১টি স্বাস্থ্য গত উপকারিতা সম্পর্কে:

১। নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়।

২। নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

৩। নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।

৪। নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।

৫। নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।

৬। নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।

৭। নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩ বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।

৮। ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।

৯। কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।

১০। নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

১১। কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।

মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ পড়া প্রসঙ্গে প্রিয়নবির ঘোষণা

আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের প্রতি সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো- সৎ কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজ থেকে নিষেধাজ্ঞার কর্তব্য সম্পাদন করা।’ অর্থাৎ নিয়মিত সৎ কাজ করা আর অন্যায় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার পাশাপাশি জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা।

আল্লাহ তাআলা কুরআনে পাকে এ কাজগুলোর নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে অনেক নসিহত পেশ করেছেন।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মসজিদকে অনাবাদী রেখে নিজ নিজ ঘরে নামাজ আদায় করে। এটা অনেব বড় ভুল কাজ। তাই মসজিদ থেকে নিজেদের নিবৃত রাখা একেবারেই ঠিক নয়।

জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায়ে হজরত উম্মে মাকতুমের প্রতি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নির্দেশনা ছিলো অনেক জোরালো। আর তাহলো-

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে এসে নিবেদন করলেন, ‘হে আল্লহর রাসুল! আমি অন্ধ এবং আমার ঘর মসজিদ থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। আমি কি জামাআতে অংশগ্রহণ না করে আমার ঘরে নামাজ পড়ার অনুমতি পেতে পারি?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন- ‘তুমি কি নামাজের দেয়া আজানের শব্দ শুনতে পাও?

আব্দুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম বললেন, ‘জি হ্যাঁ’ শুনতে পাই।

তখন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তবে তুমি সেই (আজানের) ডাকে সাড়া দাও। আজানের শব্দ শুনলে উহার ডাকে তোমার মতো অন্ধকেও তাতে সাড়া দিয়ে মসজিদে নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে হবে।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে মাত্র তিন মিনিট সময় লেগেছিল: আলিয়া

যুক্তরাষ্টের নিরাকাগুয়ার অধিবাসী ৩৯ বছরের নারী কর্ডস্মাথ ডানি সম্প্রতি তার স্বামীকে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইস’লামিক কালচারাল সেন্টারে এসে পবিত্র ধ’র্ম ইস’লাম গ্রহণ করেছেন। ইস’লাম গ্রহণ করে তিনি নিজের নাম রেখেছেন ‘আলিয়া মেন্দোজার’ আর স্বামীর নাম রেখেছেন ‘আব্দুল্লাহ মেন্দোজার’।

ইস’লাম গ্রহণকারী এ নারীর রয়ে মেন্দোজার নিজস্ব কোম্পানি। আর এ নামেই তারা প্রসিদ্ধ। আমেরিকার টুইন টাওয়ারে ৯/১১-এর হা’মলার সময় এ নারী বিমানে যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে সফরে বের হয়েছিলেন। হা’মলার পর বিমানটি নিকারাগুয়ায় ফেরত আসে।

এদিকে, ইস’লাম গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আলিয়া মেন্দোজার বলেন, ‘ইস’লাম গ্রহণ করার পর আম’রা অনেক সম্মানিত। ধ’র্মান্তরিত ব্যক্তি হিসেবে আমাদের ডা’কা হয় না।’

আলিয়া মেন্দোজার ধ’র্ম গ্রহণের পর বিশ্বনবী (সা.)এর ওই কথার পুরোপুরি মিল খুঁজে পান বলে জানা। বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক ব্যক্তিই মু’সলিম হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেছিলো। পরে বাবা-মায়ের কারণে কেউ ইয়াহুদি কিংবা খ্রিস্টান হয়েছে।’

প্রথম কালেমা পাঠের স্মৃ’তি চারণ করে আলিয়া মেন্দোজার বলেন, ‘আমা’র মনে আছে সেই সব ‘হাঁসিমুখ’-এর কথা। ইস’লাম ধ’র্ম গ্রহণ করতে আমা’র মাত্র তিন মিনিট সময় লেগেছিল। আর এ তিন মিনিট সময় চিরদিনের জন্য আমা’র জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে।’