জেনে নিন হজে ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ করা নিষেধ

1946

হজে ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ- ইহরাম ছাড়া হজ কল্পনাই করা যায় না। হজের প্রথম রুকন ইহরাম। ইহরামের মাধ্যমেই মানুষ হজ ও ওমরার কাজ শুরু করে। ইহরামকারীদের জন্য নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় কাজগুলো হজ ও ওমরা পালনকারীদের জন্য তুলে ধরা হলো-

হজ বা ওমরায় গমণকারী স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর যৌ.. ন সম্ভোগ ও এ সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা করা নিষেধ। পুরুষের জন্য সেলাইযুক্ত কাপড় দুটি কাপড় এবং স্ত্রীলোকদের জন্য শালীন ও রুচিশীল স্বাচ্ছন্দ্য পোশাক পরিধান করা। ইহরাম অবস্থায় মাথা ও মুখমণ্ডল আবৃত করা যাবে না। তবে স্ত্রীলোকগণ মাথা ঢাকতে পারেন তবে মুখ অনাবৃতই থাকবে।

ইহরামের পর সুগন্ধি ব্যবহার করা। কাপড় থেকে ইহরামের আগে ব্যবহৃত সুগন্ধির ঘ্রাণে কোনো সমস্যা নেই। ইহরাম অবস্থায় চুল বা পশম কাটা বা উপড়ানো যাবে না।

নখ কাটা যাবে না, তবে ভাঙ্গা নখ ভেঙ্গে ফেলায় ক্ষ.. তি নেই। কোনো স্থলজ পশু শি.. কা র করা। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! ইহরামরত অবস্থায় শি.. কা র করো না। (সূরা মায়িদা : আয়াত ৯৫)

এমনকি শি.. কা র কে হাঁকানো বা অন্যকে শি..কা রে র কাজে সহযোগিতা করা বা য.. বে হ করাও নিষেধ। নিজের শরীর বা মাথা থেকে উকুন বা উকুন জাতীয় প্রাণী বধ করা যাবে না। তবে সাপ, মশা-মাছি, ডাশ, গিরগিটি, ইঁদুর, পাগলা কুকুর ইত্যাদি মা.. রা. র বৈধতা রয়েছে।

মনে রাখতে হবে

ইহরাম হলো হজ ও ওমরার জন্য প্রথম শর্ত। যা ভঙ্গ হয়ে গেলে হজ ও ওমরা আদায় হবে না। হজ ও ওমরা পালনেচ্ছুদের কে যথাযথ ভাবে হজ ও ওমরা আদায়ে ইহরামের নিষিদ্ধ ও বর্জনীয় বিষয়ের প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরি।

মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ ও ওমরা পালনকারীদেরকে ইহরামের যাবতীয় বিষয়গুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইহরামের পর যে দোয়া পড়বেন হাজিরা

হজ ও ওমরার প্রথম কাজ হলো ইহরাম বাধা। হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে নিজ দেশ থেকে পবিত্র নগরী সৌদি আরব রওয়ানা হওয়ার আগেই বাসা থেকেই ইহরাম বাঁধতে হয়। হজ বা ওমরা সহজে সম্পাদনের জন্য ইহরামের উদ্দেশ্যে গোসল করে ইহরামের পোশাক পরেই ইমাম কুদুরি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ দোয়াটি পড়তে বলেছেন-

اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ (العُمْرَةَ – الْحَجَّ) فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা/হাজ্জা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরার/হজের ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।

’ অতঃপর ২ রাকআত নফল নামাজ পড়া। অতঃপর এক তালবিয়া পড়া। ইহরাম বাধার পর হজ বা ওমরা পালনেচ্ছুগণ বেশি বেশি তালবিয়া, দরূদ ও নিজেদের ইচ্ছা মতো দোয়া পাঠ করবে।

তবে ইহরামের পর এ দোয়াটি পাঠ করা সুন্নাত-

اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَ النَّارِ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউ’জুবিকা মিন গাদাবিকা ওয়ান্নারি’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসুন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইহরামের পর তালবিয়া, দরূদ ও অন্যান্য দোয়ার পাশাপাশি ছোট্ট এ দোয়াটি পড়ে দুনিয়া পরকালের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।