কুমিল্লায় আল্লাহ্‌র ৯৯টি নাম ‍লেখা দৃষ্টিনন্দন ‘আল্লাহু চত্বর’

1915

আল্লাহ্‌র ৯৯টি নাম লেখা ‘আল্লাহু চত্বর’- হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম রয়েছে। যে বা যারা এ নাম পাঠ করবে সে জান্নাতে যাবে।

এ ছাড়া গুণবাচক নামসমূহের রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। আল্লাহর গুণবাচক নামে তৈরি করা হয়েছে সু-দৃশ্য দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় আল্লাহর ৯৯ নাম খচিত দৃষ্টিনন্দন আল্লাহু চত্বরের উদ্বোধন করা হয়েছে।

গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা বাসস্ট্যান্ডের তিন রাস্তার মোড়ে মহান আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক ৯৯ নাম খচিত দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যটির উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন।

উদ্বোধনের পূর্বে উপজেলা সদরের বালুর মাঠে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সাহেদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা কাশেমুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।

ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম ‘পানতুমাই’

‘পানতুমাই’ বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম। পানতুমাই সিলেট জেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি গ্রাম যা ভারত সীমান্তের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত।

পানতুমাই গ্রামের স্থানীয় নাম “পাংথুমাই” কিন্তু সঠিক উচ্চারণ “পানতুমাই”। এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বলার যথেষ্ঠ কারন রয়েছে।

নয়নাভিরাম, অপূর্ব, অসাধারন, নান্দনিক, হৃদয়স্পর্শী, এই সবগুলো শব্দও যদি এই নামের সঙ্গে লাগানো হয় তারপরও “পানতুমাই” সৌন্দর্যের বিশ্লেষণ করা শেষ হবে না।

অবশ্য বাংলাদেশেই যে এত চমৎকার, নৈর্সগিক একটি গ্রাম আছে তা অনেকেরই অজানা! দেশ বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল, শহর, নগরীর সৌন্দর্যের খেতাব থাকলেও বাংলাদেশের ছোট্ট অথচ অনিন্দ্য সুন্দর এই গ্রামের কোন খেতাব নেই।

আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয়ের গহীন অরণ্যের কোল ঘেঁসে বাংলাদেশের বুকে নেমে এসেছে অপরূপ সুন্দর এক ঝর্ণাধারা।

যার কুল কুল ধ্বনিতে মন নাচিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে প্রকৃতির পানে। ঝর্ণাটির স্থানীয় নাম ফাটাছড়ির ঝর্ণা, কেউ কেউ একে ডাকেন বড়হিল ঝর্ণা বলে।

ঝর্ণাটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের মধ্যে পড়লেও পিয়াইন নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে উপভোগ করা যায় ঝর্ণাটির অপূর্ব রূপ সুধা। পাশেই বিএসএফ ক্যাম্প, আর বরইগাছের সারি দিয়ে দুই দেশের সীমানা ভাগ করা।

অবশ্য বিজিবির কোনো চৌকি নেই এখানে, তাই সীমানার কাছাকাছি যাওয়া চিন্তা না করাই মঙ্গলজনক। সীমান্তের কাছাকাছি না গিয়েও ঝর্ণাটির মোহনীয় সৌন্দর্য্য রস উপভোগ করতে পারবেন প্রাণভরে বাধাহীন।

গ্রামের শেষে, পাহাড়ি গুহা বেয়ে উচ্ছল ভঙ্গিমায় ছুটে চলছে হরিণীর মতোই লীলায়িত নাম না জানা ঝর্ণার জলরাশি। ছিটকে পড়ে মেলে ধরেছে নিজের রূপের মাধুরী।

তবে সাবধান, ঝর্ণার কাছাকাছি যাওয়া নিষেধ। অনেক আগে ঝর্ণার কাছে যদিও যাওয়াও যেত, ঝর্ণার পানিতে নেমে গোসলও করা যেত, কিন্তু সেই সময় বিএসএফ এর ক্যাম্প ছিল না।

তবে ভ্রমন পিপাসুরা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এর অপরূপ নৈর্সগিক সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে পারবেন।

সিলেটের আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে সিএনজি নিয়ে যাবেন গোয়াইনঘাট থানা সংলগ্ন বাজারে। ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেখান থেকে আরেকটি সিএনজিতে পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পাংথুমাই বা পানতুমাই যেতে ভাড়া লাগে মাত্র ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

পানতুমাইয়ে কোনো খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্থা না থাকায় শুকনা খাবার অবশ্যই সাথে রাখতে হবে। রাতে থাকতে চাইলে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে থাকাই উত্তম। তবে এক্ষেত্রে আপনার ২০০-৩০০ টাকা ব্যয় হতে পারে।