
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরগামীদের যানজট ও দু’র্ভোগ কমাতে দ্রুত সময়ে বিমানবন্দর পৌঁছতে কর্ণফুলী নদীতে ওয়াটার বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পরীক্ষামূলক ভাবে এ সার্ভিস পরিদর্শন করে দেখার পর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে নগরীর সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নৌপথে এ ওয়াটার বাস চলাচল শুরু হয়। ওয়াটার বাসটি পরিচালনা করছে এসএস ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে এসএস ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বাব হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে দুটি ওয়াটার বাস নামানো হয়েছে। আজ থেকে যাত্রীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এই নৌপথে নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ওয়াটার বাসের পরিচালনাকারী সংস্থা এই রুটে ৩৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেছে। ওয়াটার বাসে নদীপথে সদরঘাট থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার ঘাট পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগবে ২০ থেকে ২৩ মিনিট।



























ওয়াটার বাস পরিচালনাকারী সংস্থা এসএস ট্রেডিং জানায়, প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সদরঘাট থেকে সকাল ৭টা, ৮টা, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট, বেলা ৩টা ও সন্ধ্যা ৭টায় পাঁচটি ওয়াটার বাস পতেঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। ফিরতি পথে পতেঙ্গা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা, বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা ২টা ২৫ মিনিট, বিকাল সাড়ে ৪টা ও রাত ৯টা ১৫ মিনিটে সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। প্রতিদিন ১০ বার আসা-যাওয়া করবে ওয়াটার বাস।
বিমানবন্দরমুখী চট্টগ্রাম বন্দর সড়কে যানজট কমাতে এই নৌপথে যাত্রী পরিবহন সেবা চালুর উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ সদরঘাট ও পতেঙ্গা দুই স্টেশনে টার্মিনাল ও জেটি সুবিধা তৈরি করেছে।
যাত্রী পরিবহন সেবা পরিচালনার জন্য নিয়োগ দিয়েছে চিটাগাং ড্রাই ডক লিমিটেড (সিডিডিএল) ও এসএস ট্রেডিংকে। তারা বন্দরকে বার্ষিক ভাড়া দিয়ে এই নৌপথে যাত্রী পরিবহন করবে।







































২৫ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ওয়াটার বাসে রয়েছে লাগেজ রাখা ও ওয়াইফাই সুবিধা। পতেঙ্গা টার্মিনাল থেকে শাটল বাসে যাত্রীদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কোনো বিমানযাত্রী সদরঘাট বা পতেঙ্গা টার্মিনালে এসে তাদের মালামাল এসএস ট্রেডিং স্টাফদের বুঝিয়ে দিলে তারা নিজ দায়িত্বে এসব গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু মসজিদ নির্মিত হচ্ছে টাঙ্গাইলে…
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু মসজিদ। মসজিদটি কাবা শরীফের ইমামকে দিয়ে উদ্বোধন করানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।







































জানা যায়, প্রায় ১৫ বিঘা জমির ওপর এ মসজিদ নির্মাণ করছে স্থানীয় মুক্তিযো’দ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট। গণমাধ্যমকে মুক্তিযো’দ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য হুমায়ুন কবীর জানান, মসজিদটি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথাইল গ্রামের নদীর পাড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে থাকছে ২০১টি গম্বুজ। এর মধ্যে প্রধান গম্বুজটির উচ্চতা ৮১ ফুট।







































হুমায়ুন কবীরের দাবি, নির্মাণ শেষ হলে এই মসজিদটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উঁচু মসজিদ। তিনি জানান, বড় গম্বুজটির চারপাশে ২০ গম্বুজ থাকছে। প্রতিটির উচ্চতা ১৭ ফুট। আর মসজিদটির দৈর্ঘ ১৪৪ ফুট ও প্রস্তও ১৪৪ ফুট। এতে একসঙ্গে ১৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবে।