৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে মধ্য আকাশে জন্ম নিলো শিশু, আজীবন আকাশ ভ্রমণ ফ্রি

4461

৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে মধ্য আকাশে জন্ম- ভারতের বেসরকারি এয়ারলাইন্স জেট এয়ারওয়েজে এক শিশু জন্ম নিয়েছে। সৌদি আরব থেকে ভারত যাওয়ার পথে শিশুটির জন্ম হয়। ওই বিমান কর্তৃপক্ষ শিশুটির আজীবন বিনামূল্যে আকাশ ভ্রমণের সুবিধা করে দিয়েছে।

তবে শিশুটি পৃথিবীতে আসার ব্যাপারটি সহজ ছিল না। বিমান কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বিমানটি তখন ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে। হঠাৎ করে গর্ভবতী এক নারীর নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব ব্যথা শুরু হয়। বিমানে কোনো ডাক্তার না থাকায় একজন ক্রু ও এক যাত্রী নারীটিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।

অবশ্য তারা দুইজনই ছিলেন প্রশিক্ষিত নার্স। তাদের সাহায্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উঁচুতে মধ্য আকাশে জন্ম হয় শিশুটির।

জেট এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি মুম্বাই পৌঁছানোর পর মা ও শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমান কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, বর্তমানে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ আছে।

সফলভাবে একটি ছেলের শিশুকে পৃথিবীতে আনতে প্রসবকাজে সহায়তার জন্য বিমানের ওই যাত্রী ও কেবিন ক্রুকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। এর আগে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ৪২ হাজার ফুট উঁচুতে এক শিশুর জন্ম হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সের নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের ৩৬ সপ্তাহ হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের বিমানে চড়তে কোনো বাধা নেই। তবে এ ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের স্বাক্ষরসহ একটি চিঠি দেখাতে হয় যে তাদের গর্ভধারণের কত সপ্তাহ পার হয়েছে। সুত্র- দৈনিক ইত্তেফাক।

মুয়াজ্জিনের সুমধুর আযানের ধ্বনিতে ফোটে যে ফুল

অবিশ্বাস্য তবুও সত্যি যে, মুয়াজ্জিনের সুরেলা কন্ঠে যখন আজানের ‘আল্লাহু আকবার’ বাণী উচ্চারিত হয়, তখন এর সাথে ছন্দ মিলিয়ে ফোটে উঠে এক ফুল। আজানের ধ্বনি যেন ফুল গুলোকে ইবাদতের জন্য জাগ্রত করে। প্রতিটি সমুধুর ধ্বনিতে পাপড়ি গুলোও ক্রমান্বয়ে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠে।

ফজর, যোহর, আসর, মাগরিব এবং এশা প্রত্যেক ওয়াক্তে আযানের সাথে সাথে ফোটে এই অদ্ভুত ফুল। আর সে কারণেই ফুলটির নাম দেয়া হয় আযান ফুল। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে এই বিরল প্রজাতির ফুল ছড়িয়ে রয়েছে।

সম্প্রতি আজারবাইজানের এক মুসলিম গ্রামে মোহাম্মদ রহিমের বাগানে সন্ধান পাওয়া যায় এই আযান ফুলের। তার ১৫ বছরের শখের বাগানে রয়েছে হরেক রকম ফুল। এর মধ্যে এক প্রজাতির ফুল রয়েছে, যা কেবল আযানের ধ্বনিতেই ফোটে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত আযানের সময় এই ফুল ফোটে, আবার আযানের শেষ হলে চুপসে যায়। সিএনএন’ এই ফুলের ভিডিও চিত্র নিয়ে রিপোর্ট প্রচারিত হয়েছে।

এই ফুলকে অনেকেই ইভিনিং প্রাইমরোজ বা সানকাপস বা সানড্রপস নামে চেনেন । ১৪৫ প্রজাতির মধ্যে এটি একটি হলদে রঙের ফুল । ধারণা করা হয় এ ফুলের উৎস আমেরিকাতে। তবে ফুলটির গণ অয়ননথেরা, এটি হারবেকয়াস উদ্ভিদ প্রজাতির বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

অন্য গানের সুর বা কখনও আযানের মতো করে অন্য কোন সুর দিয়েও গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন কিন্তু এ ফুল ফোটেনি। এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছে।

প্রকৃতির মাঝে অনেক অদ্ভুত আচরণ আছে, যার আসলেই তেমন কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। আর সেই আচরণ যদি ধর্মীয় কাজের সঙ্গে মিলে যায় তবে বলতেই হবে, সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমা!

আযান সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, মুসলমানগণ যখন মদীনায় জড়ো হন তখন কিভাবে নামাযের জন্য ডাকা হবে এ নিয়ে মহানবী তার সাহাবীদের সাথে আলোচনা করেন।

কেউ পরামর্শ দিলেন নাসারাদেও ন্যায় ঘন্টা অনুসরণ করতে। কেউ বললেন ইহুদিদেও মত শিঙ্গায় ফু দিতে। আবার কেউ আ’গু’ন জ্বালানোর কথা বলেন। কেউ বা সালাত সালাত বলে ঘোষণা করতে বলেন। রাসুলুল্লাহ (সা:) কারো পরামর্শ গ্রহণ করলেন না।

পরে তিনি আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ (রা:) র স্বপ্নে পাওয়া বাক্যগুলো শুনলেন এবং সেগুলোকেই সঠিক বলে বেলাল (রা:) গোটা মুসলিমের প্রতি নামাযের জন্য এ আহবান করার নির্দেশ দিলেন। আর এই আহবানই হচ্ছে আযান। এই শাশ্বতবাণী মহানবীর ঐ সময় থেকে পৃথিবী জুড়ে আজ পর্যন্ত চলছে। এতবছরে পৃথিবীতে একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি আযান।‘ আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর।

আযান নিয়ে রয়েছে আরো কিছু চমকপ্রদ কাহিনী। একবার আমেরিকান ঘোষক কেট হাম্বেল গেলেন মধ্যপ্রাচ্যে। তিনি আযানের সুমধুর ধ্বনি এবং শাশ্বতবাণী শুনে বিমোহিত হয়ে যান।

এক কিলোমিটারের মধ্যে ৩৬টি মসজিদের আযানের ধ্বনি একই সাথে শুনে তার চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারেননি ।

নীল আর্মস্ট্রং যখন চাঁদে গেলেন তখন অপরিচিত অস্পষ্ট একটি সুর শুনতে পান। পরে তিনি কোন এক কাজে তিনি মিশরে যান, ওখানে যাবার পর তিনি সেই সুর স্পষ্ট ভাবে শুনে চমকে যান এবং যখন জানতে পারলেন যে ওটা আযান মুসলিমদের নামাযের প্রতি আহব্বান, তখন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ।