রাশিয়ায় মুসলিমদের গর্ব বৃহৎ ‘ফখরুল মুসলিমিন’ মসজিদ !

1949

গ্রোজনি। রাশিয়ার দেশ চেচনিয়ার রাজধানী। সানজা নদী তীরবর্তী রাজধানী গ্রোজনির শেলী শহরে নির্মাণ করা হয়েছে সবচেয়ে বড় মসজিদ।

৯ হাজার ৭০০ বর্গমিটার জমির উপর নির্মিত মসজিদটি পবিত্র জুমআর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে গত ২৩ আগস্ট শুক্রবার উদ্বোধন করা হয়েছে।

চেচনিয়ার প্রেসিডেন্ট ও নেতা রমজান ক্বাদিরোভের সমর্থনে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটির নাম রাখা হয়েছে ‘ফাখর আল-মুসলিমিন’। বাংলায় যার অর্থ দাড়ায় মুসলমানদের গর্ব।

এটিকে ইউরোপীয় অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হয়। মসজিদে বসানো হয়েছে উন্নতমানের মার্বেল পাথর।

মসজিদটি স্বাতন্ত্র সৌন্দর্য ও অনন্য নকশায় তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের বাইরে পানির ঝরনা ও ফুলের বাগানে সজ্জিত করা হয়েছে।

মসজিদটি আধুনিক ইসলামি স্থাপত্যের একটি মডেল। যাকে বর্তমান সময়ে মাস্টারপিস হিসেবে ধরা হয়। মসজিদের প্রবেশ ও সুউচ্চ ৪টি মিনার রয়েছে। দরজাগুলো একটির বিপরীতে অন্য নির্মাণ করা হয়েছে।

মূল মসজিদে একসঙ্গে ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারলেও মূল মসজিদ, বারান্দাসহ মসজিদের আঙিনায় প্রায় ৭০ হাজার লোক নামাজ আদায়ে সক্ষম।

উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত গ্রোজনি শহরে চেচনিয়ার নেতা রমজান ক্বাদিরভ ১০ হাজার লোক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। যাকে ‘হার্ট অফ চেচনিয়া’ বা চেচনিয়ার হৃদয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

শ্রবণ প্রতিবন্ধী নারীদের জন্য কুরআন শেখার প্রথম স্কুল….

শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে ও নারীদের জন্য ছবির সাহায্যে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথম কুরআন শিক্ষার স্কুল চালু করেছে মিসর। যেসব নারীরা কানে শুনতে পায় না তাদের জন্য এ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দেশটি। মিসরের গর্ভরনেট প্রদেশের মিনিয়া শহরে এ স্কুলটি উদ্বোধন করা হয়েছে।

নিউজ সিনা ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, গর্ভরনেট প্রদেশের রাজধানী মিনিয়া শহরের একটি মসজিদে শ্রবন প্রতিবন্ধী মেয়ে ও নারীদের জন্য সাংকেতিক ছবির মাধ্যমে বিশুদ্ধ কুরআন শেখার স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এ সাংকেতিক স্কুলে যারা কুরআন পড়তে পারে না তাদেরকে পড়া শেখানো হবে। যারা কুরআন হেফজ করতে চায় তাদের মুখস্ত করানো হবে। এ স্কুলেই ধর্মীয় শিক্ষাসহ প্রিয় নবির সীরাত, দোয়া ও ইসলামিক বিষয়াদি শেখানো হবে।

গভর্নরেট প্রদেশের মিনিয়া শহরে প্রতিষ্ঠিত কুরআন শিক্ষার স্কুলটি শ্রবন প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম স্কুল। যেখানে বিশুদ্ধভাবে কুরআন ও ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া হবে।