যে ৭টি অভ্যাসের কারনে জাপানী নারীদের যৌবন অটুট থাকে- ৫০ বছরেও দেখতে লাগে ২০ বছরের মত

2987

আমাদের দেশের মেয়েরা এখন অনেক বেশি রূপ সচেতন। রূপচর্চায় তারা অনেক কিছু করে থাকেন। কিন্তু জাপানি মেয়েরা যেন এভার গ্রীণ। আপনি কিছুতেই তাদের সঠিক বয়স ধরতে পারবেননা।

রূপচর্চাতে তারা এমন ই কিছু অদ্ভুত কৌশল ব্যবহার করেন যে তারা সবসময় থাকেন সুন্দর । কী সেই সাতটি কৌশল ?জানেন কী? না জানলে জেনে নিন-

১| আবহাওয়া যাই হোক না কেন তারা তাদের স্কিনের সুরক্ষা নিয়ে সবসময় সচেতন। যেকোনো আবহাওয়াতেই তারা ছাতা ব্যবহার করে। কেন? যাতে তাদের স্ক্রিন এ ট্যান না পড়ে তাই।

২| সৌন্দর্য নিয়ে তারা অতি সচেতন। নিজেদের সৌন্দর্য রক্ষা করতে তারা একটা নির্দিষ্ট সময় ও অর্থ ব্যয় করে। এ ছাড়া কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি তারা মেনে চলে –

৩| সপ্তাহে এক দিন তারা ভীষণরকম এনজয় করে।

ক| সেদিন তারা সবরকমের কাজ ও চিন্তা থেকে ছুটি নেয়। পার্থিব সব রকম জিনিস থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখে তারা । এরপর তারা নিজেদের শরীরে জলীয় বাস্পের ভাপ নেয়।

খ|এরপর তারা খুব যত্ন করে শরীরের প্রত্যেকটা জায়গাতে মাজুনি দিয়ে ঘষে আর স্ক্র্যাব করে শরীরের সব ময়লা দূর করে।

গ| তারপর অনেকক্ষণ তারা কুসুম গরম পানিতে শুয়ে থাকে যেটা খুব দরকারি শরীরের যত্নের জন্য । শেষে তারা নিজেদের শরীরে তেল মাখেন। এই প্রক্রিয়া রোজ করালে তাদের শরীর উন্নত হওয়ার সাথে সাথে শরীরের সকল ব্যথাও দূর হয় আর তারা মানসিক চাপ থেকেও মুক্ত হয়।

৪|নিয়মিত তারা এন্টি এজিং ক্রিম মাখেন। যাতে বলিরেখা না পড়ে মুখে।

৫| রোজ তারা নিজেদের মুখ ধুয়ে পরিষ্কার করেন আর ময়শ্চারাইজ করেন ত্বকের সৌন্দর্যে প্রতি সন্ধ্যায় আপনার মুখ পরিষ্কার এবং ময়শ্চারাইজ করুন এটি ভীষণ জরুরি। এটি করলে আপনার চেহারায় কালো দাগ হবে না ও বলিরেখা পড়বে না।

৬|সপ্তাহে একদিন তারা ত্বককে বিশ্রাম দেন কোনরকম মেকাপ কিড এদিন তারা ইউজ করেননা। শুধু ময়শ্চারাইজিং ক্রিম মাখেন সেদিন।

৭| তারা এমন খাবার খান যেগুলি ত্বকের জন্য উপকারি যেমন খাবারের ক্ষেত্রে জাপানী নারীরা যা করেন তা হল –
ক. প্রায় দেড় লিটার জল রোছ পান করা। খ. স্ন্যাকস কম খাওয়া। গ। ভিটামিন খাওয়া। ঘ। সামুদ্রিক মাছ খাওয়া। সবুজ শাকসব্জি খাওয়া ঙ। সবুজ চা খাও

অকাল বার্ধক্য রোধ করে যৌবন ধরে রাখতে প্রত্যেকেই চায়। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত পরিচর্যা। এক্ষেত্রে ত্বকের যত্নের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস রাখাটাও জরুরি। তাই যৌবন ধরে রাখার লক্ষে পুষ্টিবিদরা কিছু পুষ্টিকর খাদ্য উপাদানের সন্ধান দিয়েছেন। জেনে নিন কি কি সেই খাদ্য উপাদান-

১: তারুণ্য ধরে রাখতে জলপাইয়ের তেল খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের হার্টের সুস্থতায় উপকারী।

২: রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা কমিয়ে অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৩: ওয়ালনাট, ক্যাশুনাট, পিনাট ইত্যাদির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৪: গ্রিন টি- তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই উপকারী একটি উপাদান। এটি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না এবং শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিকারসিনোজেন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে ও হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে।

৫: মাছের তেল হৃদপিণ্ড ও গাঁটের সুস্থতায় উপকারী। মাছের তেল অকাল বার্ধক্য রোধে করতে সাহায্য করে।

৬: কালো চকোলেটে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এর মধ্যে থাকা ফ্লোবোনয়েড ত্বককে সূর্যের আলোর জন্য ক্ষতি হওয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

খাতা-কলমে বয়স বাড়লেও শরীরের বয়স কি ধরে রাখতে চান? তাহলে আজ থেকেই ডাবের জল পান করা শুরু করে দিন। দেখবেন উপকার পাবেন অবশ্যই। আসলে ডাবের জলে রয়েছে সাইটোকিনিস নামে নামে একটি অ্যান্টি-এজিং উপাদান, যা শরীরের উপর বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে শুধু মাত্র দৌড়-ঝাপ আর ব্যায়াম করলেই হয় না । এর সঙ্গে খাদ্য খাবারের দিকেও একটু খেয়াল রাখতে হয় । স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কলা খেয়ে শরীরের বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব । কারণ, কলাতে পটাশিয়াম ছাড়াও প্রচুর মাত্রায় ফাইবার রয়েছে, যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে অন্যান্য খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে।

অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ আমাদের শরীরের কোন রোগ, বিশেষ করে পেটের সমস্যায় এই রোগ বেশী পরিমানে দেখা যায়। নিয়মিত এই ৫ টি খাবার খেলে এই চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

১) সামুদ্রিক মাছে থাকা উচ্চ মাত্রার ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও সেলেনিয়াম চুল পাকা রোধ করে।

২) বেরি জাতীয় ফলে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেনট চুল পাকা রোধ করে।

৩) সবুজ শাকসবজিতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ডায়েটারি ফাইবার চুল পাকা রোধ করবে।

৪) কাঠবাদামে থাকা কপার ও ভিটামিন ই যা সুন্দর ত্বক ও চুলের জন্য খুবই জরুরি।

৫) চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে কপার যা মেলানিন তৈরিতে সাহায্য করে। আর এই মেলানিন আমাদের চুলের রঙ কালো করে।