যেসব লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়েছে

4020

৮ লক্ষণে বুঝবেন প্রস্রাবে সং’ক্রম’ণ- প্রস্রাবে সংক্রমণ খুবই ক’ষ্ট’দায়ক রোগ। রোগটি হলে তলপেটে প্রচণ্ড ব্য’থা হয়। পুরুষের চেয়ে নারীরা এ রোগে বেশি আ’ক্রা’ন্ত হয়ে থাকেন।

প্রস্রাবে সংক্রমণ কী?

শরীরে মূত্র তৈরি এবং দেহ থেকে তা নিঃসরণের জন্য যে অঙ্গ সমূহ কাজ করে সেগুলোতে কোনো কারণে ইন’ফে’কশন দেখা দিলে তাকে ইউনারি ট্রোক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই বা UTI) বলে। একটু সতর্ক হলে এ রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।

লক্ষণ-

ঘন ঘন প্রস্রাব। প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব। প্রস্রাবের সময় ব্য’থা, জ্বা’লা পো’ড়া ও অস’হ্য অনুভূতি। তলপেটে স্বাভাবিক ভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যথা অনুভব। ঘন ফেনার মতো অথবা দুর্গন্ধ যুক্ত প্রস্রাব।

জ্বর-কাঁপুনি সহ অথবা কাঁপুনি ছাড়া। ব’মি ব’মি ভাব ও ব’মি হওয়া। কোমরের পাশের দিকে অথবা পেছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যথা। এ ছাড়া প্রস্রাবের চাপে রাতে বারবার ঘুম ভে’ঙে যাওয়া।

চিকিৎসা-

ড্রাগ থেরাপি হিসেবে চিকিৎসকরা নিম্ন লিখিত গ্রুপের ওষুধ সমূহ ব্যবহার করে থাকেন, সেফালোস্পরিন, লিভোফক্সাসিন, গ্যাটিফক্সাসিন ইত্যাদি খুবই ভালো, যা ৯৬ শতাংশ কার্যকর ব্যাক্টেরিয়া জনিত কারণে হলে।

অন্য দিকে ফাংগাসের কারণে হলে এন্টি ফাংগাল মেডিসিন দিয়ে থাকেন, সেই সঙ্গে চুলকানি থাকলে তা রোধ করার জন্য এন্টি ফাংগাল বা করটিকস্টারয়েড জাতীয় ক্রিমও দেয়া হয় বাইরের চুলকানি দূর করার জন্য এবং বেশি ব্য’থা থাকলে নিউরোস্পাস্মটিক ওষুধ বেশ আরামদায়ক।

পুনরাবৃত্তি সংক্র’মণ না হওয়ার জন্য একই সঙ্গে সহবাস সঙ্গীকে প্রতিষেধক অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া উচিত।

হারবাল-

যেহেতু ইহা ব্যাক্টেরিয়ার আক্র’মণে হয়ে থাকে, তাই ব্যাক্টেরিয়া ধ্বং’স’কারী অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া এখনও অন্য কিছু নেই। তবে সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে সর্বশেষ রিসার্চ অনুসারে নিুের দুটি ওষুধ ভালো ফল দায়ক (Cranberry 750mg Extract Super Strength) ট্যাবলেট, যা দিনে তিনটি পর্যন্ত খেতে হবে কেনবারি জুস খুবই ফলদায়ক. যা দিনে ৩/৪ কাপ খেলে উপকৃত হবেন, তবে যাদের এ’লার্জি আছে তাদের জন্য নিষেধ।

অথবা ট্যাবলেট Bromelain 80mg দিনে দুবার খেতে পারেন, তবে এটি শিশু দের জন্য নিষেধ (বারমুলিন মূলত আনারসকে বলা হয়েছে অর্থাৎ আনারসের সিরাপ দিনে ২/৩ বার খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে)।

সতর্কতা-

কোনো ওষুধই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত সেবন করা নিষেধ।

সুস্থ থাকতে সকালের নাস্তায় যা খাবেন…

সকালের নাস্তা অবশ্যই খেতে হবে। সকালের নাস্তা সারা দিনের জন্য তৈরি করে আমাদেরকে। যদি আমরা সকালের নাস্তা না করি তাহলে কি হবে? আমাদের শরীর একটা দীর্ঘ মেয়াদী উপ বাসে চলে যাবে এবং শরীর বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে, আমরা সহসা খাবার গ্রহণ করছি না।

যখন দুপুরের খাবার খাব তখন আমাদের শরীর সেই খাবার ভবিষ্যতের জ্বালানীর জন্য শরীরে চর্বি আকারে জমা করবে। ফলে ওজন বেড়ে যাবে। সকালের নাস্তার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরে সারা দিনের জ্বালানী সরবরাহ করি।

তবে পুষ্টিবিদ দের মতে, সকালে কি নাস্তা খাচ্ছেন তা খেয়াল রাখা জরুরি। অনেক ওজন কমানোর জন্য সকালে কম খাবার খান। আবার অনেক বেশি খেয়ে কিন্তু সমস্যা। তবে দুটি অভ্যাসের কোনোটাই ঠিক নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালে হালকা নাস্তা করতে গিয়ে এমন কিছু খাবার খাওয়া যাবে না যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষ’তি’কর।

আসুন জেনে নেই সকালের নাস্তায় কী খাবেন?

সকালের নাস্তায় খেতে পারেন ওটমিল। এই খাবার আপনাকে সারাদিনের এনার্জিই দেবে। পাশাপাশি এটি আপনাকে দূরে রাখবে বিভিন্ন রোগ থেকে।

ওটে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, কপার, ফসফরাস, আয়রন, জিঙ্ক, ফলেট, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। ওট খেতে পারেন দুধ, ফল ও বাদাম মিশিয়ে।

জেনে নিন সকালে ওটমিল খাওয়ার উপকারিতা –

শরীরের জন্য ক্ষ’তি’কারক কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ওট। ওট আঁশজাতীয় খাবার হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। তাই ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। উচ্চ র’ক্ত’চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ।