ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশি গবেষক !

2074

বাংলাদেশি গবেষক ড. আতাউল করিম ভাসমান ট্রেন আবিষ্কার করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন। ড. আতাউল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নেন। এরপর আমেরিকার অ্যালাবামা ইউনিভার্সিটি থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএস, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএস এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি পান যথাক্রমে ১৯৭৮, ১৯৭৯ এবং ১৯৮১ সালে।

বাংলাদেশের এই বিজ্ঞানী এমন একটি ট্রেনের নকশা করেছেন- যা চলার সময় ভূমিই স্পর্শ করবে না! তাঁর এ অভিনব আবিষ্কার গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে এই ট্রেন বাণিজ্যিকভাবে তৈরির বিষয়টি ভাবা হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০০৪ সালে এ ভাসমান ট্রেনের প্রকল্পটি হাতে নেন ড. আতাউল। দেড় বছরের মাথায় ট্রেনটির প্রোটোটাইপ তৈরি করতে সক্ষম হন তিনি। অথচ সাত বছর চেষ্টা করেও সফলতা পাননি ওল্ড ড্যামিয়ান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

রের সময়টায় নামকরা বিজ্ঞানীরা মডেলটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছেন। কিন্তু কোনও খুঁত খুঁজে না পাওয়ায় এটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রেনের প্রচলিত ধারাকে পেছনে ফেলে ড. আতাউল করিম সম্পূর্ণ নতুন এক পদ্ধতিতে এই ট্রেনের নকশা করেছেন। ট্রেনটির গঠনশৈলীও খুবই আকর্ষণীয়। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য, এটি চলার সময় ভূমিই স্পর্শ করবে না। ট্রেনটি চুম্বক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাবলীলভাবে চলবে। গতিও হবে অনেক বেশি। অনেকটা বুলেট ট্রেনের মত!

জার্মানি, চীন ও জাপানে ১৫০ মাইলের বেশি গতির ট্রেন আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে এগুলোর সঙ্গে আতাউল করিমের ভাসমান ট্রেনের পার্থক্য হচ্ছে, ওই ট্রেনে প্রতি মাইল ট্র্যাক বসানোর জন্য গড়ে খরচ পড়ে ১১ কোটি ডলার। আর ড. আতাউলের আবিষ্কৃত এই ট্রেনে খরচ হবে মাত্র এক কোটি ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ ডলার।

বরফের সুনামি ! সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় করছে বরফের সুনামি। পাড়ে এসে আছড়ে পড়ছে চাঁই চাঁই বরফ। শ্লথ গতি হলেও বেশ ভয়ঙ্কর তার রূপ।

যদি কোথায় এই সুনামি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ৯ ঘণ্টার মধ্যে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ময়দানে। ইতোমধ্যে ভিডিও দেখা হয়েছে ৯৭ হাজার, পাশাপাশি ৫ হাজার লাইক ও প্রায় দুই হাজার রিটুইট করা হয়েছে।

মেরু অঞ্চলে ও যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য ও কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশে এই দৃশ্য দেখা যায়। যেখানে সমুদ্রপাড়ে রাশি রাশি বরফ ঢেউয়ের আকারে আছড়ে পড়ে এবং ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। যা দেখে মনে হতেই পারে এ যেন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির ছবি। ক্রমশ লোকালয়ে ঢুকে আসছে সেই বরফের চাঁই।