বহুল পরিচিত ফল নাশপাতির বিভিন্ন উপকারিতা…

1921

নাশপাতির বিভিন্ন উপকারিতা- নাশপাতি আমরা অনেকেই খেতে ভালোবাসি। আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল নাশপাতি। ফলটি সাধারণত রসালো। নাশপাতি গাছে থাকা অবস্থায় ভালভাবে পাকে না। তবে এ ফলের ৮৩ শতাংশই জলে পরিপূর্ণ। ফলের কেন্দ্রস্থলটি বেশ নরম।

পুষ্টিগুন:- নাশপাতিতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি-১, বি-২, ই, ফলিক এসিড এবং নিয়াসিন নামক পুষ্টিকর উপাদান। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ মিনারেলের উত্‍কৃষ্ট উত্‍স।

নাশপাতি খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা….

অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে:-

শিশুদের প্রায়ই প্রথম ফল হিসেবে নাশপাতি দেওয়া হয়। শুধু পুষ্টিগুণের জন্য নয়, এটি অ্যালার্জির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমায়। যারা প্রায়ই হালকা জ্বর এবং অ্যালার্জি সমস্যায় ভোগে তাদের জন্য নাশপাতি খুবই উপকারী।

হাড়ের ক্ষয়রোধ করে:-

উচ্চ মাত্রায় মিনারেল থাকার কারণে নাশপাতি দেহে ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়। এটি হরমোন উত্‍পাদন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের ১০ শতাংশ নাশপাতিতে বিদ্যমান। এ ছাড়াও নাশপাতিতে আছে হাড়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ‘ভিটামিন কে’।

কোষ্ঠকাঠিন্য:-

কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে নাশপতির জুড়ি নেই। বিকালে বা রাত্রে খাওয়ার পর নাশপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

হৃদরোগে:-

করোনারি থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্যাকশন ইত্যাদি রোগে প্রতিদিন ২-৩ টুকরো নাশপতি খেলে খুবই উপকার হয়।

মাড়ি ক্ষয়রোধ:-

দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকারি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মড়ির ক্ষয় পূরণ হয়।

খুশকি ও চুল পড়া:-

খুশকি ও পেটের পীড়ার কারণে মাথার চুল পড়ে গেলে সিকি কাপ নাশপাতির রস ১০-১৫ দিন খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়।

রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা কমায়:-

নাশপাতি রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ কমায়। চলতি মাসের একটি গবেষণায় জানা গেছে যারা নাশপাতির জুস খায় তাদের স্মরণশক্তি ভালো থাকে এবং আলো কিংবা শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা কমে আসে।

ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াই:-

চিকিত্‍সক ক্রিসটি বলেন, নাশপাতিতে বিদ্যমান পলিফেনল টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে। পলিফেনল রক্তের শর্করার পরিমাণ কমায়। সপ্তাহে পাঁচবারের বেশি নাশপাতি খেলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ে। এটি চোখ, ত্বক এবং কিডনির সমস্যাও দূর করে।

গর্ভাবস্থায় উপকারী:-

নাশপাতিতে ফলিক এসিড সহ গর্ভাবস্থার জন্য বিভিন্ন পুষ্টি গুণ রয়েছে। প্রতিটি বড় নাশপাতিতে প্রায় ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফোলেট রয়েছে, যা ১১ বছরের অধিক বয়সী দের খাদ্য তালিকার প্রয়োজনীয় উপাদানের ২০০ গ্রাম এবং গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকার প্রয়োজনীয় উপাদানের ৭০০ গ্রাম পূরণ করে। চিকিত্‍সক দের মতে, গর্ভবতী নারী দের জন্য প্রয়োজনীয় ফলিক এসিডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে নাশপাতিতে। মহিলা দের বিভিন্ন রোগ সহ মেনোপোজ পরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা কাটাতে নাশপাতির জুড়ি নেই।

জেনে নিন কমলার খোসার উপকারিতা…

আমরা কি জানি আমাদের আশেপাশেই কত উপকারী প্রাকৃতিক দ্রব্য ছড়িয়ে আছে? আমরা বেশিরভাগ সময় এগুলোকে অবজ্ঞা করি। তেমনি একটি দ্রব্য হচ্ছে কমলার খোসা। কমলা শুধু ফল হিসেবেই উপকারী নয়, এর খোসারও রয়েছে বহুবিধ ব্যবহার।

ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল করতে গোসলের সময় কমলার খোসার ভেতরের অংশ ব্যবহার করা যায়। কমলার খোসার টুকরা পিঁপড়া বা পোকার বাসায় রেখে দিলে দূর হবে পোকা মাকড়।

একটি কাচের বয়ামে বেশ কয়েক টুকরা কমলার খোসা নিন। সাদা ভিনেগার ভর্তি করে বয়াম রেখে দিন ফ্রিজে। দুই একদিন পর পর নেড়ে দেবেন মিশ্রণটি। কয়েক সপ্তাহ পর বের করে স্প্রে বোতলে ভরে নিন মিশ্রণটি। জানালা ও আয়নার গ্লাস পরিষ্কার করুন এর সাহায্যে।

জুতার দুর্গন্ধ দূর করতে একটি ছোট কাপড়ের ব্যাগে কমলার খোসার টুকরা নিয়ে রেখে দিন জুতার ভেতরে। কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। বাথরুম বা রান্না ঘরের কোণায় ছিটিয়ে নিন। চমৎকার সুগন্ধ আসবে।