নাইজেরিয়ায় পবিত্র কুরআন অবমাননার শাস্তি মৃ’ত্যু’দ’ণ্ড ঘোষণা !

4600

নাইজেরিয়ায় কুরআন অবমাননার শাস্তি মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড- কোরআন অবমাননার অপরাধে সর্বোচ্চ শা’স্তি মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড ঘোষণা করা হয়েছে নাইজেরিয়ায়।

দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, যারা পবিত্র কোরআনুল কারিম অ’ব’মা’ন’না করবে তাদেরকে সর্বোচ্চ শা’স্তি মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড দেয়া হবে।

জামফারা রাজ্যের গভর্নর বালু মুহাম্মদ মেটাওয়াল বলেন, কোরআনুল কামির মুসলিম উম্মাহর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। কোরআনের মর্যাদা রক্ষায় শীঘ্রই তা অ’ব’মা’ন’না’র শা’স্তি হিসেবে মৃ”ত্যু”দ”ণ্ড বিল কার্যকর করা হবে।

রাজ্যের ২৪ জন সদস্যের এক কমিটি পরামর্শের আলোকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিছু দিন আগে জামফারা রাজ্যে গভর্নর মুহাম্মদ মেটাওয়াল বলেছিলেন যে, কোরআন অ’ব’মা’ন’না’র অ’প’রা’ধে’র দোষীদের শাস্তি দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।

উল্লেখ্য যে, নাইজেরিয়ার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি। নাইজেরিয়ার প্রায় অর্ধেক জনগণই মুসলিম। আর এসব মুসলিমরা দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বসবাস করে। দেশটিতে অন্যান্য ধর্মের অনুসারী রয়েছে ১০ শতাংশ এবং বাকি ৪০ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।

‘ফজরের নামাজ কখনো ক্বাজা করি নাই, ১১৯ বছরেও আমি সুস্থ্য আছি, খালি চোখেই বই পড়ি’

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১৯বছরে পা দিলেও এক ব্যক্তি চশমা ছাড়াই খালি চোখে স্বাভাবিকভাবে পত্রিকা পড়াসহ সব ধরনের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

যে বয়সে তার শেষ সম্বল লাঠি হাতে নিয়ে চলা ফেরা করার কথা ঠিক সেই সময়ে সে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় এলাকায় মানুষের কাছে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। বার্ধক্য তাকে হার মানাতে পারেনি। বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি তার কাজকর্মে। তিনি কোন কাজে মনো নিবেশ করলেই আশ-পাশের মানুষ তাকে এক নজর দেখতে ভিড় শুরু করে দেন।

এমই এই সাদা মনের মানুষটির নাম মোঃ জোবেদ আলী। তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর হলেও তার বয়স হয়তো আারো বেশী হবে। তিনি উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র। তাঁর স্ত্রী ফয়জুন নেছা(৮৭), ৩পুত্র ও ৪কন্যা সহ নাতি-নাতিনী সহ বহু বন্ধু-বান্ধব ও গুনগ্রাহী রয়েছে।

৯জানুয়ারী বুধবার দুপুরে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোর ঠিক বয়স মনে নেই, তবে আইডি কাডত যা আছে তার চেয়ে বেশী হবে। ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের দিঘীর মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তৈল, রাসায়নিক সার বিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন। এই বয়সে তাঁর ছোট খাট জ্ব্বর-সর্দি ছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যধি হয় নাই।

শরীর এখনও তাঁর ভাল আছে। তিনি একশ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তাই তিনি নিয়মিত পবিত্র কুরআন-মাজিদ, পত্রিকা ও বই পড়তে পারেন। রাতে তিনি কুপি জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন-মাজিদ পড়েন।

তিনি আরো বলেন, কোনদিন ফজরের নামাজ আমি ক্বাজা করি নাই এবং ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলোয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ্ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এজন্য আল্লাহ্র কাছে লাখো শুকরিয়া।

এ ছাড়া পত্রিকা পড়াই তার এখন প্রধান নেশা বলে জানান। এ বিষয়ে রাজারহাট ইউপি সদস্য শমশের আলী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই জোবেদ জ্যাঠোকে এই অবস্থায় দেখে আসছি। এখনো তিনি আগের মতোই চলাফেরা করেছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।-ব্রেকিংবিডিনিউজ

কুরআন হেফজের কোর্সে ২০ হাজার কাতারি নারীর অংশগ্রহণ

কাতারে নারীদের জন্য কুরআন প্রশিক্ষণ সেন্টারে কুরআনের আলোকে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কোর্সে এসকল নারীগণ অংশগ্রহণ করেছেন। কাতারের ইসলামিক এবং আওকাফ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ধর্মীয় গাইডেন্স ও প্রচার বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে ২১টি কুরআন হেফজ সেন্টারে এই কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কাতারের নাগরিক এবং সেদেশে বসবাসকৃত বিদেশী নাগরিকগণ বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত মহিলারা এই কোর্সে স্বতঃফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।

কাতারের ইসলামিক এবং আওকাফ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেদেশের নারী ও শিশুদের জন্য এই কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কোর্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কাতারের নারীরা কুরআন পড়া, আরবি অক্ষর শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করা, কুরআনের কিছু অংশ হেফজ করা, তাফসির এবং তাজবিদ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।

২০১৯ সালের দ্বিতীয় তিন মাসে (এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত) কুরআন প্রশিক্ষণের আলোকে সকাল ও বিকালের পর্বে ৭১৮টি কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও কাতারের নারীরা “সাহায়িবুল খাইর” নামক ১৩টি কুরআনিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।