নখ দেখে বুঝে নিন আপনার শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে

4450

নখ দেখে বুঝে নিন আপনার শরীরে- নখের পেছনে এমন অনেকেই আছেন যারা দিনের অনেকটা সময় ব্যয় করে থাকেন। আবারও অনেকেই হাত ও পায়ের নখ সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে মোটা অঙ্কের টাকাও খরচ করেন।

কিন্তু আপনি জানেন কি নখের বর্ণ দেখে আমাদের শরীরের ভিতরে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকা নানা রোগের লক্ষণ বোঝা সম্ভব!

চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে নখ দেখে বুঝবেন শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে, সেই রোগের উপসর্গ-

১. নখে নীলচে দাগ:

নখের গোড়ায় যদি হালকা নীলচে দাগ বা নীলচে আভা দেখতে পান তবে বুঝতে হবে শরীরে পরিমিত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছে না। ঘটছে অক্সিজেনের ঘাটতি অর্থাৎ আপনি হয়তো অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগছেন।

আপনাকে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত হবে। এছাড়াও ফুসফুস ও হার্টের যদি কোনও সমস্যা থেকে থাকে তবে নখের রঙ নীল হয়ে যায়।

২. নখের মাঝে দাগ:

নখের মাঝখানে যদি আড়াআড়িভাবে দাগ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে শরীরের কোনও সমস্যা থেকে তা ভালো হওয়ার দিকে যাচ্ছে। এ কারণে নখের গঠন বাধা পাচ্ছে।

৩. হলদে ভাব:

নখের মধ্যে যদি হলুদ দাগ থাকে তবে তা থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন:- থাইরয়েড, জন্ডিস এর মতো রোগ হতে পারে। নখে ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও হতে পারে। নখের রং যদি হলুদ হতে শুরু করে এবং ক্রমশ শক্ত মোটা হয়ে যায়।

তবে তা নখে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত নেলপলিশ পরার ফলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

৪. নখের চারপাশে গাঢ় দাগ:

নখের চারদিকে যদি গাঢ় দাগের সৃষ্টি হয় তবে তা বুঝতে হবে যে লিভারের সমস্যার দিকে এগোচ্ছে। নখের ভেতরের অংশ সাদা হয়ে আসে এই অবস্থাতে।

৫. শুকনো নখ:

যারা বেশি বেশি পানির কাজ করেন বা পানিতে বেশিক্ষণ ধরে থাকেন, যেমন সাঁতার কাটা প্রভৃতি তাদের হাতের নখ বেশি শুষ্ক হয়। ফলে তা ভঙ্গুরও হয়ে থাকে।

যে সব কারণে হাত-পা অবশ হয়

দীর্ঘ সময় ধরে এক পায়ের উপর আরেক পা উঠিয়ে কাজ করছেন। অনেকক্ষণ পর মনে হচ্ছে উপরের পাটি অবশ অবশ লাগছে। অথবা একটানা দীর্ঘক্ষণ হাত, পা বা শরীরের কোন অংশের উপর চাপ পড়লে ওই অংশ সাময়িকভাবে অবশ হয়ে যেতে পারে।

তবে এমনটা বার বার হতে থাকলে এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কারণে এমনটা হতে পারে। এই সমস্যায় স্নায়ুতন্ত্রের মায়োলিন সিথ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নায়ুগুচ্ছে কোন কারণে চাপ পড়ে সংকুচিত বা ক্ষতিগ্রস্থ হলে শরীরের সেই অংশে অনুভূতি কাজ করে না তখন অবশ লাগে। চিকিৎসকদের মতে, শারীরিক দুর্বলতা, কোন সংক্রমণের প্রভাবেও অবশ হতে পারে। কখনও কখনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও এমনটা হতে পারে।

প্রায়ই আমরা দীর্ঘক্ষণ একই ভঙ্গিমায় বসে থাকার কারণে আমাদের হাত পা ঠিক মতো কাজ করে না। আসুন জেনে নেই কেন এমনটা ঘটে।

যে সব মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের অনেকের মধ্যেই পেরিফেরাল স্নায়ু রোগের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। পেরিফেরাল স্নায়ুর সমস্যায় পায়ের পাতা ঘন ঘন অবশ হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীকালে এই অবশ ভাব শরীরের উপরের অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।

স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে হাত, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে তীব্র ব্যথা এবং জ্বালা হতে পারে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিউরালজিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। শরীরের যে কোনো অংশেই এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে কোনো সংক্রমণের কারণে বা বয়সের কারণে হতে পারে এই রোগ।

মস্তিষ্কে যদি রক্ত সরবরাহ পর্যাপ্ত না হয় সে ক্ষেত্রে স্ট্রোক হয়। বিশেষ করে রক্তনালী কোনো কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে এমন হয়। স্ট্রোকের প্রথম লক্ষণ হলো বাঁ হাত অবশ হয়ে যাওয়া যা ক্রমশ হাতের তালু পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে।

সিস্টেমিক ডিজিজে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, এর জন্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার বা স্নায়ুর নানা সমস্যা হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে সিস্টেমিক ডিজিজে হাত, পা-সহ শরীরের একাধিক অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে।