দেনমোহর হিসেবে স্বামীর কাছে শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজই চাইলেন স্ত্রী !

3614

দেনমোহর শুধু ৫ ওয়াক্ত নামাজ- বিবাহের ক্ষেত্রে দেনমোহর ইসলাম ধর্মে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেনমোহর আদায় না করলে বিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।

বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর প্রেক্ষাপটে দেনমোহর আদায়ে নাভিশ্বাস উঠে বরপক্ষের। সেটা নিশ্চয়ই অনেকেরই জানা।

ইসলামী শরিয়তে বিয়ের সময় পাত্রীর পক্ষ থেকে পাত্রের কাছে তার সামর্থ্য অনুসারে দেনমোহর দাবি করা হয় যা বাসর রাতের আগে পরিশোধ করে দেয়া বাধ্যতামূলক। পাত্রের পক্ষ থেকে কিছু আদায় করার অনুমতি নেই।

যদিও বর্তমানে বরপক্ষ কনেপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা, আসবাবপত্র, বিলাসবহুল সামগ্রী দাবি করে। অন্যদিকে কনেপক্ষ থেকেও বিশাল অংকের দেনমোহর দাবি করা হয় যা পরিশোধ করা পাত্রের পক্ষে অসম্ভব হয়ে উঠে।

নগদ অর্থ নয়, সোনার গয়নাও নয়, না কোন ব্যাংক ব্যাল্যান্স। নব-বিবাহিত স্বামী যেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত আদায় করে তার প্রতিশ্রুতি দিলে আর কিছু চায় না তার। এমনই এক অভিনব দেনমোহরের বিনিময়ে বিবাহ সম্পন্ন হলো পাকিস্তানে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগেও এমন বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে একটি সূরা মুখস্ত করাকে বিয়ের দেনমোহর হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল কন্যার পক্ষ থেকে। সেই হিসেবে এই বিয়ে অভিনব না হলেও অনেকের জন্য তা অনুকরণীয় অবশ্যই হতে পারে। বিশেষ করে যখন কয়েক লাখ টাকার নগদ ঘরভর্তি আসবাবপত্র, গাড়ি ছাড়া বর্তমান যুগে বিয়ে হয় না।

সেখানে পাকিস্তানের টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী ইয়াসরা (৩৪) তার বিপরীতে গিয়ে তার চেয়ে ১০ বছর কম বয়সী হাদিকে বিয়ে করতে সম্মতি জানিয়ে এই দেনমোহর দাবি করেন। হাদি বর্তমানে এমবিবিএস-এর থিসিস নিয়ে ব্যস্ত। তাই স্বামীকে অহেতুক অর্থের জন্য চাপ না দিতে ইয়াসরার এমন সিদ্ধান্ত।

এমন পরিস্থিতিতে ইয়াসরা-হাদির এমন অভিনব বিয়ে প্রশংসাযোগ্য। অতি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করা হয়।

ইয়াসরা বলেন, নামাজ শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। নামাজ আমাদের পাপ কাজ থেকে বাঁচায়। এ জন্য আমি আমার স্বামীর কাছ থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতিশ্রুতি চেয়েছি।

কুরআনে হাফেজ আবু তাহার স্বপ্ন মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া !

একজন মুমিন বান্দার ইচ্ছা হবে মসজিদে আকসায় নামাজ পড়া এটাই স্বাভাবিক। ৭ বছরের শিশু ফিলিস্তিনের কনিষ্ঠতম কুরআনের হাফেজ ইয়াহিয়া নুরুদ্দীন রায়িস আবু তাহা।

ছোট্ট আবু তাহার একমাত্র ইচ্ছা হলো অসংখ্য নবি-রাসুলের আগমনের শহর জেরুজালেম নিজ চোখে দেখা এবং মসজিদে আকসায় নামাজ আদায় করা।

আবু তাহা’র ভাষায়, ‘আমার বয়স ৭ বছর। আমি আমার পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের সহায়তায় মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারিম মুখস্ত করতে সক্ষম হই।’

পড়াশুনায় সফল হয়ে চিকিৎসক হওয়ারও স্বপ্ন দেখে ছোট্ট আবু তাহা। কনিষ্ঠ হাফেজ আবু তাহা’র একমাত্র ইচ্ছা জেরুজালেম শহর নিজ চোখে দেখা এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাসে নামাজ আদায় করা।

মহানবী (সাঃ) বলেন,“মসজিদুল হারাম ছাড়া অন্যান্য মসজিদের তুলনায় আমার এই মসজিদে (নববীতে) একটি নামায হাজার নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৯২নং)

“আর অন্যান্য মসজিদের তুলনায় মসজিদুল হারামের একটি নামায এক লক্ষ নামায অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” (আহমাদ, মুসনাদ, বায়হাকী, জামে ৩৮৩৮, ৩৮৪১ নং)

আল্লাহ তাআলা ছোট্ট হাফেজ আবু তাহা’কে কুরআনের খাদেম হিসেবে কবুল করুন। আমিন।