আলহামদুলিল্লাহ, লন্ডনে ৮ তলা থেকে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশি শিশুটি বেঁচে আছে

2987

পূর্ব লন্ডনের পপলারে বহুতল ভবন থেকে রাস্তায় পড়া আনুমানিক ২ বছর বয়সী শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল । তবে এখন পর্যন্ত তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসের পপলারে এই ঘটনা ঘটে।

সোমবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের পপলারে একটি বহুতল ভবনের সামনের রাস্তায় শিশুটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্সও আসে।

তারা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শিশুটির মা-বাবা দু’জনই ব্রিটিশ বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এ ঘটনায় ত’দন্ত শুরু করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ভিডিউতে দেখা যায়, রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছে একটি ২ বছরের শিশু।

এশিয়ান কাপড় পরিহিত এক মা শিশুর পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছেন। উঁচু ভবন থেকে শিশুটি কিভাবে রাস্তার মাঝখানে পড়ল তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অনেকেই বলছেন, ভবনের আটতলা থেকে শিশুটি নিজে নিজে পড়লে রাস্তার ধারের ফুটপাতে পড়তে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যখানে চলে আসায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশি জানিয়েছেন, তার স্বামী বলেছেন শিশুটি ভবন থেকে পাবলিক বাসের উপর পড়ে। বাসের ছাদ থেকে শিশুটি রাস্তায় পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফ’তার করেনি। তবে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

ফ্রান্সে বাস্তবে রূপ পাচ্ছে স্থায়ী শহীদ মিনার

দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর ফ্রান্সে বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে স্থায়ী শহীদ মিনার। রাজধানী প্যারিস থেকে প্রায় ৭শ’ কিলোমিটার দূরের শহর তুলুজে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে জমি বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় পৌরসভা। আর এতেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন, তুলুজের সভাপতি কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ফকরুল আকম সেলিম জানান, প্রায় ১০ বছর চেষ্টার পর মেরি থেকে আমরা জায়গা বরাদ্দ পেতে সক্ষম হলাম। পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার নির্মাণ করতে প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার ইউরো (প্রায় ৪০ লাখ টাকা) বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পুরো অর্থই কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যোগান দেবেন।

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নির্মাণ কাজ শেষ হতে পারে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শহীদ মিনারের জন্য মেরি (পৌরসভা) থেকে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১২ মিটার। মূল শহীদ মিনারের নকশায় রয়েছে প্রস্থ ৬ মিটার ও উচ্চতা ৩ মিটার।

আকম সেলিম জানান, ২০১০ সালের শুরুর দিকে তৎকালীন ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে শহীদ মিনার নির্মাণ বিষয়ে আলাপ হয়। পরবর্তীতে ২০১২ সালে মেয়র পিআর কোয়েনের সাথে বৈঠক করে শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি আবারও আলোচনা করেন তিনি। কিন্তু এ আলোচনা প্রাথমিক পর্যায়েই থেকে যায়।

পরবর্তীতে জন লুক মোডেন মেয়র নির্বাচিত হলে তিনি আবারও যোগাযোগ বৃদ্ধি করেন। কনসাই মিউনিসিপ্যালের ৬২ জন সদস্যের সামনে শহীদ মিনার নির্মাণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। জন লুক মোডেন দ্বিতীয়বার মেয়র নির্বাচিত হলে আলোচনাটি আরও জোরদার হয় এবং সর্বশেষ গত ১১ মার্চ পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন পায়। কিন্তু করোনাকালীন সংকটের কারণে বাঙালি কমিউনিটির কাছে সে চিঠিটি হাতে আসে মাত্র কয়েকদিন আগে।

মেরির এমন সিদ্ধান্তের পর বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে খুশির রেখা বইছে। পরিকল্পনা নির্ধারণে বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন, তুলুজ বিশেষ সভার আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, ফ্রান্সে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য এর আগে আরও বহুবার চেষ্টা করা হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ফ্রান্সে এসে একটি শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনোটিই পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি।

এদিকে রাজধানী প্যারিসেও স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রাঙ্কো বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সোহেল ইবনে হোসাইন।