আফ্রিকাকে অসাধারণ সুন্দর এক মসজিদ উপহার দিল তুরস্ক !

1405

মসজিদ উপহার- উসমানি খেলাফতের শেষ সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের নামে জেবুতিতে নির্মিত হয়েছে সর্ববৃহৎ মসজিদ কমপ্লেক্স।

উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার দেশটির রাজধানী জেবুতির প্রেসিডেন্ট হাউসের পাশে বিশাল এই মসজিদ কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। ২০১৫ সালে কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ও জেবুতির প্রেসিডেন্ট ইসমাইল ওমর গাওলা।

তুরস্কের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় মসজিদের নির্মাণকাজ চলতি মাসে শেষ হয়। উসমানীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হলেও তাতে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক নির্মাণসামগ্রী।

১৩ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সুলতান আবদুল হামিদ কমপ্লেক্স। যাতে একসঙ্গে ছয় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে। মসজিদের সর্বোচ্চ গম্বুজের উচ্চতা ২৭ মিটার এবং তাতে রয়েছে ৪৬ মিটার উচ্চ মিনার।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, সৌন্দর্য ও নান্দনিকতায় সুলতান আবদুল হামিদ মসজিদ জেবুতির অদ্বিতীয় মসজিদের খেতাব পেয়েছে।

কমপ্লেক্সে নামাজের স্থান ছাড়াও ৪০০ জনের ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র, সুবিশাল কনফারেন্স রুম, গণপাঠাগার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উন্মুক্ত হলরুম এবং শিশুদের কোরআন শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র মাদরাসা রয়েছে। এরই মধ্যে সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ মসজিদ কমপ্লেক্স একটি পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে।

প্রাচীন নির্মাণশৈলী ও আধুনিক কারুকাজে নির্মিত মসজিদের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক। স্থানীয় গণমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ মসজিদ দর্শনে আসে।

চিকিৎসা নিতে আসা নারী নামাজে সেজদারত অবস্থায় মৃৃ’ত্যু…

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা হোসনে আরা (৫৫) নামে এক নারী নামাজে সেজদারত অবস্থায় মৃ”ত্যু”র কোলে ঢলে পড়েন।

গতকাল শুক্রবার দুপুরে কটিয়াদীর শারমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। নি”হ”ত হোসনে আরা উপজেলা মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ধনকীপাড়া গ্রামের মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী।

হোসনে আরার ছোট ভাই রইছ মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল হক সংগ্রাম জানান, আমার বড় বোন হোসনে আরা ২০১৪ সাল থেকে ডায়াবেটিস রোগে আ”ক্রা”ন্ত। তিনি প্রতিমাসে ডাক্তার দেখানোর জন্য কটিয়াদীতে শারমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসতেন।

আজও তিনি ডাক্তার দেখানোর জন্য এসে সিরিয়ালে নাম লেখান। ডাক্তার জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে চলে গেলে আমার বোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কক্ষে নামাজ পড়ার সময় সেজদারত অবস্থায় মৃ’’ত্যু”র কোলে ঢলে পড়েন।

ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজন কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।

শারমিন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত হালিমা খাতুন জানান, তিনি একজন ধার্মিক মহিলা ছিলেন। ডাক্তার দেখাতে আসলেও তিনি কখনও মুখের নেকাব খুলতেন না। আমি দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তিনি আমার পাশেই নামাজ পড়ছিলেন। সেজদারত অবস্থায় তার দেহ কাঁপতে কাঁপতে তিনি পড়ে যান।