স্বামীর ‘বর্বর’ মেলা’মেশা বিয়ের ৩৪ দিনের মাথায় লা’শ হলো কিশোরী স্ত্রী

1360

বিয়ের ৩৪ দিনের মাথায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর মৃ’ত্যু যে কারণে- টাঙ্গাইলের বাসাইলে ৩৪ বছর বয়সী স্বামীর বর্বর যৌ… স’ঙ্গ’মে নুর নাহার নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর মৃ’ত্যু হয়েছে।

মাত্র ৩৪ দিন আগে তার বিয়ে হয়। গত ২৫ অক্টোবর রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়।

যৌ… না’ঙ্গ থেকে অতিরিক্ত র’ক্ত’ক্ষ’রণে নুর নাহারের মৃ’ত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফিরোজুর রহমান।

দরিদ্র পরিবারে জন্ম নুর নাহারের (১৪)। অভাব-অনটনের কারণে বাবা-মা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এ জন্য ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা তাকে নানার বাড়িতে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন।

এ বছর নুর নাহার অষ্টম শ্রেণিতে ছিল। মেধাবী ছাত্রী হিসেবে স্কুলে সুনামও ছিল। তার চোখে-মুখে কৈশোরের দুরন্তপনা।

এখনও বোঝা হয়নি বিয়ে কি! হঠাৎ করেই গত ২০ সেপ্টেম্বর প্রবাস ফেরত ৩৪ বছর বয়সী রাজিব খানের সঙ্গে অ’প্রাপ্ত বয়সে তাকে বিয়ে দেওয়া হয়।

ছেলে প্রবাসী হওয়ায় নুর নাহারের পরিবার লোভ সামলাতে না পেয়ে তার হাতে তুলে দেয় মেয়েকে। অ’প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হওয়ায় শা’রী’রি’ক সম্পর্কের কারণে নুর নাহারের র’ক্ত’ক্ষ’রণ হয়।

র’ক্ত’ক্ষ’রণ হলেও স্বামী রাজিব খানের ‘বর্বর’ যৌ… স’ঙ্গ’মের নে’শা কমেনি। এতে আরো অ’সুস্থ হয়ে পড়েন কিশোরী নুর নাহার।।

এরপর গত রবিবার (২৫ অক্টোবর) নুর নাহার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি পশ্চিমপাড়া গ্রামে-

নি’হ’তের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলকি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে প্রবাস ফেরত রাজিব খানের সঙ্গে একই উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামের বাসিন্দা লাল খানের নাতনি কলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুর নাহারের বিয়ে হয়। অ’প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই তার গো’প’না’ঙ্গে র’ক্ত’ক্ষ’রণ হয়।

এক পর্যায়ে নুর নাহারের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করান। র’ক্ত’ক্ষ’রণ হলেও তার স্বামীর ‘বর্বর’ যৌ… স’ঙ্গ’ম বিন্দুমাত্র কমেনি। গত ২২ অক্টোবর তাকে টাঙ্গাইলের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হলে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। ময়না ত’দ’ন্ত শেষে নানার বাড়ির স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দা’ফন করা হয়। নুর নাহারের নানা লাল খান বলেন, মেয়েটি বিয়ের রাত থেকেই র’ক্ত’ক্ষ’র’ণ হচ্ছে বলে জানিয়েছিল। এ জন্য নুর নাহারের শাশুড়ি তাকে গ্রাম্য কবিরাজের কাছ থেকে ওষুধ খাওয়াচ্ছিল। পরে র’ক্ত’ক্ষ’রণ বেশি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানকার ডাক্তাররা বলেছেন, অ’প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়ার কারণে নুর নাহারের গো’প’না’ঙ্গ দিয়ে র’ক্ত’ক্ষ’রণ হচ্ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। মূলত স্বামীর কারণেই নুর নাহারের মৃ’ত্যু হয়েছে বলে দাবি তার। নুর নাহারের শাশুড়ি বিলকিস বেগম বলেন, নুর নাহারকে ভূতে ধরেছিল। এ জন্য তার গো’প’না’ঙ্গ দিয়ে র’ক্ত বের হতো।

পরে স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তার বাবার বাড়ির লোকজন এসে তাকে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফিরোজুর রহমান বলেন, নারীর প্রথম ‘যৌ… ন’ মিলনে ভ’য় ও আ’ত’ঙ্ক কাজ করে। অ’প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হলে র’ক্ত’ক্ষ’র’ণ হতে পারে।

এ জন্য দ্রুত গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। টাঙ্গাইলের এএসপি আব্দুল মতিন বলেন, এ ঘটনায় অ’ভি’যো’গ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ত’দ’ন্ত চলছে। ময়না ত’দ’ন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওসির মানবিকতায় স্মৃতি হারানো কিশোরী ফিরল স্বজনদের কাছে…

পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেনের মানবিকতায় মা’নসিক ভা’রসাম্যহীন এক কিশোরী তার স্বজনদের কাছে ফিরল। সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাতে তার স্বজনরা তাকে বাড়ি নিয়ে যান।

এর আগে রোববার (২৫ অক্টোবর) গভীর রাতে পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসি বড়ালব্রিজ রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে ওই কিশোরীকে উ’দ্ধার করে থানায় নিরাপত্তা হে’ফাজতে রেখেছিলেন। পিতৃহীন এ মা’নসিক ভা’রসাম্যহীন কিশোরীর নাম তানিয়া আক্তার (১৫)। সে চাটমোহর উপজেলার রামপুর গ্রামের মৃ’ত মোশারফ হোসেনের মেয়ে। তার মায়ের নাম মালেকা খাতুন।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার মধ্যরাতে টহল পুলিশ ভাঙ্গুড়া উপজেলার বড়ালব্রিজ রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে অ’জ্ঞা’ত পরিচয়ের ওই মেয়েটিকে দেখতে পায়। মেয়েটি পুলিশ দেখে এগিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তার পরিচয় জিজ্ঞেস করলে সে তার নাম তনিয়া বলে জানায়। এর চেয়ে বেশি সে কিছুই বলতে পারেনি।

পুলিশ সদস্যরা তখন বুঝতে পারেন মেয়েটির স্মৃতিভ্রম হয়েছে কিম্বা মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভু’গছে। এ বিষয়টি ওসি জানার পর তিনি রাতেই স্টেশনে যান। তিনি মেয়েটিকে উদ্ধার করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে থানায় নিরাপত্তা হেফাজতে নেন। এরপর তিনি বিভিন্ন থানায় মেসেজ দেয়ার পাশাপাশি মেয়েটির সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন।

এতে বিষয়টি অনেকের নজরে আসার পর তারা মেয়েটির পরিবারকে খবর দেন। তার মামা ইসমাইল হোসেন চাটমোহর থানায় যোগাযোগ করেন। সেখানে স্বজনদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ভাঙ্গুড়া থানায় পাঠায় চাটমোহর থানা পুলিশ। মেয়েটির স্বজনরা সোমবার (২৬ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় পৌঁছান। পরে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাকে স্বজনদের কাছে তুলে দেন।

মেয়েটির মামা ইসমাইল হোসেন হোসেন জানান, কিছুদিন ধরে তানিয়া মা’নসিক ভা’রসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তারা পুলিশ তথা ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পুলিশ তাকে উদ্ধার না করলে অনেক বড় ক্ষ’তি হয়ে যেতে পারতো। ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি মানবিক কারণেই মেয়েটিকে উ’দ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

প্লাটফর্মে সে খারাপ লোকের খপ্পড়ে পড়লে তার বড় ক্ষ’তি পারতো। তিনি জানান, মেয়েটির স্বজনদের কাছে তাকে তুলে দিতে পেরে তিনি ও তার মা’নসিকভাবে তৃপ্ত। ওসির এমন কাজকে ভাঙ্গুড়ার সুধী সমাজ সাধুবাদ জানিয়েছেন। পুলিশ একটি অসহায় মেয়েকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে স্বজনদের কাছে তুলে দিয়ে একটি মহৎ কাজ করছে বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।