মাত্র ৪৯ দিনেই পবিত্র কুরআনের হাফেজ এই ছোট্ট শিশু !

1894

কুমিল্লার বিস্ময় বালক- মাত্র ৪৯ দিনে কোরআনের হাফেজ হলো ৯ বছরের এক শিশু। তার নাম রাফসান।

কুমিল্লা শহরের ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের হিফজ বিভাগ থেকে সে এ কীর্তি গড়েছে। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের প্রবাসী বাহার উদ্দিনের ছেলে রাফসান।

শনিবার রাতে রাফসানের হিফজ বিভাগের শিক্ষক জামাল উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, রাফসান দেশের বিস্ময় বালক। তার মেধা সাধারণের চাইতে অনেক বেশি। রাফসান ৪৯ দিনে কোরানের ৩০ পারাই মুখস্ত করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের নভেম্বরের ২ তারিখে রাফসানকে কোরআন শরিফের ৩০ তম পারা মুখস্ত করতে দেই। দিন শেষে রাফসান গড়গড় করে ৩০তম পারাটি মুখস্ত বলে দেয়। এতে অবাক হলেও হয়ত আগে থেকেই পারাটি তার মুখস্ত ছিল ভেবে পরের দিন আবার তাকে প্রথম পারা মুখস্ত করতে দেই।

একইভাবে সে দ্রুত ওই পারাটিও সবক দিয়ে দেয়। এভাবে কোরআনের পাঁচটি পারা কয়েক দিনের মধ্যে মুখস্ত করে দিলে আমরা নিশ্চিত হই যে রাফসান আর সব শিশু থেকে আলাদা। তার মুখস্তবিদ্যা প্রখর।

এভাবে প্রতিদিনই এক পারা করে মুখস্ত করে যেতে থাকে ও পেছনের আয়াতগুলো ঝালিয়ে নিতে থাকে রাফসান। রাফসানের এখন পুরো কোরআন শুনানি চলছে বলে জানান শিক্ষক জামাল উদ্দিন।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাফসানের মা শাহিনা আক্তার ২০১৭ সালে ছেলেকে নুরানি দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি করে। এক বছর রাফসান প্রথম শ্রেণির বই পড়ার সঙ্গে দেখে দেখে কোরআন পড়া শেষ করে।

এর পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তাকে একই বিদ্যালয়ের হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, এর আগে ২৯ দিনে কোরআন মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলেন জুয়াইরিয়া নামের এক পাকিস্তানি তরুণী।

লাহোরের গাজিয়াবাদ কলেজের ছাত্রী জুয়াইরিয়া কলেজ ছুটির ফাঁকে কোরআন মুখস্থ করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন।

যে দোয়াটি পড়লে ৭০ টি বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন

এমন একটি দোয়া রয়েছে যা পড়লে সত্তরটি বিপদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি, সর্বনিম্নটি হলো দারিদ্রতা।

হযরত ওমর ফারুক রা. বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় এ দুয়াটি পাঠ করবে, সে ব্যক্তির আমলনামায় দশ লাখ নেকি লেখা হবে এবং তার আমলনামা থেকে দশ লাখ গুনাহ মুছে দেয়া হবে।

দোয়াটি হলো: لااله الاالله وحده لاشريك له الملك وله الحمد يحي ويميت وهوحي لايموت بيده الخير وهوعلي كل شيء قدير

বাংলা উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলক, ওয়ালাহুল হামদ, ইউহই ওয়া-ই মিতু, বিয়াদিহিল খাইর, ওহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই। তিনি একক। তাঁর কোন শরিক নেই। তাঁর জন্যই বাদশাহী ও রাজত্ব এবং তাঁর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। তিনি জীবন দেন, মৃ”ত্যু দেন। তিনি জীবিত আছেন, মারা যাবেন না কখনোই। সমস্ত কল্যাণ তাঁর নিয়ন্ত্রণে এবং তিনি সমস্ত জিনিসের ওপর ক্ষমতাবান।’ (তিরমিযি)

হযরত আবু নাঈম ও ইবনে আবি শায়বা রহ. একটি আমলের কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁরা বলেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দুয়া একবার পাঠ করবে- একশ’ বার নয়, মাত্র একবার- আল্লাহ তায়ালা তার সত্তরটি বিপদ দূর করে দিবেন। আর সর্বনিম্ন বিপদ হল দারিদ্রতা। আর অন্যান্য বিপদগুলো এর চেয়ে অনেক বড় বড়। যে ব্যক্তি এই দুয়ার আমল করবে, আল্লাহ তাআলা তার এসব বিপদ দূর করে দিবেন।

দোয়া : لاحول ولاقوة الا بالله ولاملجا ولامنجا من الله الا اليه

বাংলা উচ্চারণ : লা হাউলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি ওয়ালা মালজাআ ওয়ালা মানজাআ মিনাল্লাহি ইল্লাহ ইলাইহি।

দুআটি নিয়মিত পাঠ করুন। সব রকম সমস্যা থেকে নাজাত পাবেন, ইনশাআল্লাহ।

দুঃশ্চিন্তাগ্রস্তদের জন্য সান্তনা : কানযুল উম্মালে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই আয়াতটি পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হৃদয়কে প্রশান্তি দান করবেন। لا إِلَهَ إِلا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ এখানে ইয়াকিন ও দৃঢ় বিশ্বাসের শর্তারোপ করা হয়েছে। কারো অন্তরে এ ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে সে সুফল পাবে না।

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত তামিম দারি রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি এ বাক্য দশ বার পড়বে সে চল্লিশ লাখ সওয়াব পাবে।

বাক্যটি হলো- أَشْهَدُ أَنْ لاَ إله إِلاَّ الله، وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، إِلهاً وَاحِداً أَحَداً صَمَداً لَمْ يَتَّخِذْ صَاحِبَةً وَلاَ وَلَداً وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُواً أَحَدٌ

উচ্চারণ: আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, ইলাহান ওয়াহিদান- আহাদান সামাদান- লাম ইয়াত্তাখিজ সাহিবাতান ওয়ালা ওয়ালাদান; ওয়ালাম ইয়াকুল লাহু কুফুওয়ান আহাদ।

অর্থ: আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একা, তার কোনো শরিক নেই। একক উপাস্য, একাই, অমুখাপেক্ষী, তার স্ত্রী-সন্তান নেই। তার সমকক্ষও কেউ নেই।