মাত্র এই ৩টি কাজ করলেই ক্যান্সার থেকে মুক্তি, ইনশাআল্লাহ

5852

২০১৭ সালের এক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে মৃ’ত্যু’ব’র’ণ করে। আর প্রতিদিন নতুন করে ৩৩৪ জন মানুষ ক্যান্সারে আ’ক্রা’ন্ত হচ্ছে।

এর ব্যয়বহুল চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বশান্ত হয় ৭০ ভাগ মানুষ। অথচ মাত্র ৩টি বিষয়ে সচেতন হলেই ক্যান্সার থেকে অনেকটাই দূরে থাকা সম্ভব বলে মনে করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা।

ওশ স্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, মস্কো, রাশিয়ার ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. গুপ্তপ্রসাদ রেড্ডি (বি ভি) বলেছেন, ক্যান্সার কোনো ম’র’ণ’ব্যা’ধি নয়, কিন্তু মানুষ এই রোগে মারা যায় শুধুমাত্র উদাসীনতার কারণে। তার মতে, মাত্র দুটি উপায় অনুসরণ করলেই উধাও হবে ক্যান্সার। উপায়গুলো হচ্ছে:-

১. প্রথমেই সব ধরনের সুগার বা চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। কেননা, শরীরে চিনি না পেলে ক্যান্সার সেলগুলো এমনিতেই বা প্রাকৃতিকভাবেই বিনাশ হয়ে যাবে।

২. এরপর এক গ্লাস গরম পানিতে একটি লেবু চিপে মিশিয়ে নিন। টানা তিন মাস সকালে খাবারের আগে খালি পেটে এই লেবু মিশ্রিত গরম পানি পান করুন। উধাও হয়ে যাবে ক্যান্সার।মেরিল্যান্ড কলেজ অব মেডিসিন- এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপির চেয়ে এটি হাজার গুণ ভাল।

৩. প্রতিদিন সকালে ও রাতে তিন চা চামচ অর্গানিক নারিকেল তেল খান, ক্যান্সার সেরে যাবে।চিনি পরিহারের পর নিচের দুটি থেরাপির যেকোনো একটি গ্রহণ গ্রহণ করুন। ক্যান্সার আপনাকে ঘায়েল করতে পারবে না। তবে অবহেলা বা উদাসীনতার কোনো অজুহাত নেই।

উল্লেখ্য, ক্যান্সার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে ডা. গুপ্তপ্রসাদ গত পাঁচ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এই তথ্যটি প্রচার করছেন। সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে অনুরোধ করেছেন এই তথ্যটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।তিনি বলেছেন, “আমি আমার কাজটি করেছি। এখন আপনি শেয়ার করে আপনার কাজটি করুন এবং আশেপাশের মানুষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করুন।” সূত্র: রেডিট

এছাড়া আমাদের রোজকার খাবারে যদি থাকে এই ৭টি খাবার, তাহলে ক্যানসার হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারেন ৷

বাদাম: বাদাম ভিটামিন ই এর সবথেকে ভালো উৎস। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ চীনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের খাবারে বাদাম রাখুন। এ ছাড়াও এক চামচ বাদামের মাখন লাগানো এক টুকরো পাউরুটি আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।

বাতাবিলেবু: বাতাবিলেবু, কমলালেবু , ব্রোকলি এই সব কিছুতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী নাইট্রোজেন যৌগের গঠন রোধ করে। বাতাবি, কমলালেবু, ব্রকলী এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল খাদ্যনালী, মূত্রাশয়, স্তন ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, এবং পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি রাখুন।

মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন শরীরে থাকলে তা কোলন, স্তন, পেট ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও প্রমানিত হয়, যে মহিলারা মিষ্টি আলুর মত বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ সবজি তাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন রাখেন তাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক কমে যায়।

হলুদ: হলুদের মধ্যে বিদ্যমান সবথেকে সক্রিয় একটি উপাদান যা ‘কারকিউমিন’ নামে পরিচিত প্রদাহজনিত সমস্যা বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উভয় হিসাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করতে চাইলে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন অথবা মাছ ও মাংসের তরকারিতে প্রয়োজন মত ব্যাবহার করতে পারেন।

চা: চায়ে রয়েছে ক্যাটচীন নামক একটি যৌগ। এই যৌগটি মানবদেহকে ক্যান্সারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা চা পান করেন তাদের ফুসফুস, প্রস্টেট, কোলন এবং স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যারা চা পান করেন না তাদের থেকে অনেক কম। চায়ের মধ্যে সবুজ চা (গ্রিন টী) ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য সবথেকে কার্যকরী।

বেদানা: বেদানায় রয়েছে ‘এলাজিক অ্যাসিড’। এই এলাজিক অ্যাসিড শরীরে ক্যান্সারের জন্য দায়ী যৌগকে নিস্ক্রিয় করে ও ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধি বন্ধ করে। যেকোনো উপায়ে পরিবারের সবাইকে আজকে থেকেই বেদানা খাবার জন্য উৎসাহী করুন। সালাদ, জুস, মিল্কশেক অথবা সরাসরি যেকোনো উপায়ে বেদানা খেতে পারেন সবাই।

টমেটো: ক্লিনিক্যাল অনকোলজি জার্নালে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায় টমেটো ‘লাইকোপিন’ নামক ক্যান্সার প্রতিরোধকে সমৃদ্ধ। লাইকোপিন দেহকে প্রস্টেট ক্যান্সার সহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। তাই পুরুষ ও মহিলা প্রত্যেকের সপ্তাহে অন্তত তিনটি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

কিডনির পাথর থেকে বাঁচতে হলে শুধু ২টি কাজ করবেন

আমাদের দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ কিডনি। এছাড়াও শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনির মাধ্যমে। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া।

কিন্তু ঠিক কি কি কারণে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করতে পারবেন, জানেন কি? আসুন জেনে নেয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে, যা হয়তো আপনার জানা নেই। কাচা লবন খাবেন না’ অনেকেই খাবারে লবণ খান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

কারণ লবণের সোডিয়াম খুব সহজে কিডনি দূর করতে পারে না এবং তা জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়াও অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বাড়ে।

পানি পান করুন কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়। যদি আপনি পানি পরিমিত পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। সুতরাং পরিমিত পানি পান করুন।

নখ দেখে বুঝে নিন আপনার শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধছে

১. নখে নীলচে দাগ:

নখের গোড়ায় যদি হালকা নীলচে দাগ বা নীলচে আভা দেখতে পান তবে বুঝতে হবে শরীরে পরিমিত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাচ্ছে না। ঘটছে অক্সিজেনের ঘাটতি অর্থাৎ আপনি হয়তো অক্সিজেন স্বল্পতায় ভুগছেন।

আপনাকে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত হবে। এছাড়াও ফুসফুস ও হার্টের যদি কোনও সমস্যা থেকে থাকে তবে নখের রঙ নীল হয়ে যায়।

২. নখের মাঝে দাগ:

নখের মাঝখানে যদি আড়াআড়িভাবে দাগ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে শরীরের কোনও সমস্যা থেকে তা ভালো হওয়ার দিকে যাচ্ছে। এ কারণে নখের গঠন বাধা পাচ্ছে।

৩. হলদে ভাব:

নখের মধ্যে যদি হলুদ দাগ থাকে তবে তা থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন:- থাইরয়েড, জন্ডিস এর মতো রোগ হতে পারে। নখে ছত্রাকের আক্রমণ থেকেও হতে পারে। নখের রং যদি হলুদ হতে শুরু করে এবং ক্রমশ শক্ত মোটা হয়ে যায়।

তবে তা নখে ছত্রাকের আক্রমণ থেকে হতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত নেলপলিশ পরার ফলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।

৪. নখের চারপাশে গাঢ় দাগ:

নখের চারদিকে যদি গাঢ় দাগের সৃষ্টি হয় তবে তা বুঝতে হবে যে লিভারের সমস্যার দিকে এগোচ্ছে। নখের ভেতরের অংশ সাদা হয়ে আসে এই অবস্থাতে।

৫. শুকনো নখ:

যারা বেশি বেশি পানির কাজ করেন বা পানিতে বেশিক্ষণ ধরে থাকেন, যেমন সাঁতার কাটা প্রভৃতি তাদের হাতের নখ বেশি শুষ্ক হয়। ফলে তা ভঙ্গুরও হয়ে থাকে।