
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বিরোত্তম বলেছেন, ‘বিএনপিরা বেশি লাফালাফি করতেছে। এদের একজন ইংল্যান্ড থেকেই লাফায়।
ভাতিজা তারেক রহমান; অত লাফাইয়ো না, তুমিতো দেশেই আসতে পারবা না।

































এত লাফাইতেছো কিসের জন্য?’ শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কামালিয়া চালা মাদ্রাসা মাঠে হাতিবান্ধা ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, ওর চাইতে ওর মা ভালো ছিল, কিন্তু এই লোকটা (তারেক রহমান) ভালো না।
















































বিএনপির এক নেতা বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে পাকিস্তানই ভালো ছিল। আরেহ বেটা আপনি পাকিস্তান চলে যান। বাংলাদেশ না হলে মানুষের বাড়িতে কাজও পেতেন না।
জনসভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি সারা জীবন আওয়ামী লীগ করেছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ তাঁদের কথা রাখে নাই।
















































আটিয়া বন অধ্যাদেশ বাতিল করা হবে বলা হয়েছিল, কিন্তু বাতিল করে নাই। এক কোটি লোকের চাকরি দেওয়ার কথা ছিল, ১০ লাখ লোকেরও চাকরি দিতে পারে নাই।
এই কারণে আমি আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিয়ে নতুন দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ করেছিলাম। সারা দেশে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের একটি সিদ্ধান্তও এখন আর কার্যকর নেই,
















































কিন্তু আমার পাহাড়ের আটিয়া বন অধ্যাদেশ এখনো আছে। এই সুযোগে বন কর্মকর্তা ঘর দিতে গেলে টাকা নেয়।’
বন কর্মকর্তাদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তা আমার পাহাড়ের মানুষের কাছে টাকা চাইলে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। একজন মানুষও তাঁর কোনো কাজ করবে না।
















































অথচ এ বিষয়ে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে আইনের খসড়া হয়েছে, পাহাড়ের যে জায়গায় যেমন আছে তেমনি থাকবে। যত দিন জরিপ শেষ না হচ্ছে, তত দিন বন বিভাগ মানুষের বাড়িতে গিয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
জনসভায় হাতিবান্ধা ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা বীরপ্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, জেলা কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুস ছবুর খান, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সানোয়ার হোসেন সজিব, সানোয়ার হোসেন মাস্টার, দুলাল হোসেন, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।