বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু নির্মিত হবে বরিশাল-ভোলায়

1632

সবচেয়ে বড় সেতু- বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মা সেতু। তবে দৈর্ঘ্যর দিক দিয়ে এবার পদ্মার চেয়েও বড় সেতু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। বরিশাল ও ভোলা জেলার মধ্যবর্তী তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য, দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র দ্বীপ জেলা ভোলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক পথে বরিশাল সহ আশপাশের জেলাগুলোর যোগাযোগ সহজ করা।

বরিশালের লাহারহাট থেকে ভোলার ভেন্ডুরিয়া ফেরিঘাটকে সংযুক্ত করবে এ সেতু। ১০ কিলোমিটারের এ সেতুটির প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। জমি অধিগ্রহনের কাজও সমাপ্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে।

কিন্ত এবার বরিশাল আর ভোলার মধ্যে নির্মিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় সেতু। বরিশালের লাহারহাট থেকে ভোলার ভেন্ডুরিয়া ফেরিঘাটকে সংযুক্ত করবে এ সেতু। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু সমীক্ষার কাজ।

এ অনুযায়ী নদীর মাঝে চরের উপর ৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টসহ এ সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১০ কিলোমিটার। সেতুতে স্প্যান বসবে ৫৮টি, অবস্থা ভেদে এক একটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য হবে ১১০-২০০ মিটার। সেতুর প্রাক্কলিত বাজেট ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে প্রায় ১৩০০ একর।

এ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতুটি পদ্মা সেতুর মতো ডাবল ডেকার নয়। এটি সড়ক সেতু হচ্ছে। যাচাই বাছাই শেষে এখন ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে।

মূলত পদ্মার মতো খরস্রোতা নয় এখানের নদী। তাই জটিলতা বেশি হবে না। প্রাথমিক সমীক্ষার পর আগামী মাসের মধ্যে শেষ করা হবে ডিপিপির কাজ। এর পর চীন অথবা সৌদি আরবের সঙ্গে হতে পারে জিটুজি চুক্তি।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মুহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, ফান্ডিং সোর্সের ওপর মূলত এ ধরনের মেগা প্রজেক্টের কাজ নির্ভর করে। এটা শেষ হকে চার থেকে পাচ বছর সময় লাগবে।

ভোলা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দ্বীপ। এর চারপাশে বরিশাল, পটুয়াখালী, লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর। এ জেলায় প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে দেশের মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন এই জেলা।

বর্তমানে ফেরি ও অন্যান্য নৌযানের মাধ্যমে ভোলার সঙ্গে পাশের জেলাগুলোর যোগাযোগ চালু রয়েছে। সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় ভোলা থেকে অন্য জেলাগুলোয় পণ্য আনা-নেয়া ও যাতায়াত করা বেশ কঠিন। এটি জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।