ডান কানে ফোন রিসিভ করলে কি ক্ষতি হয় ? জানলে আবাক হবেন

1851

মোবাইল থেকে সৃষ্ট ক্ষতিকর একটি জিনিষ হচ্ছে রেডিয়েশন। আকাশে যেমন বিদ্যুৎ চমকায় তেমনই একটি তড়িৎ শক্তি হচ্ছে রেডিয়েশন। এই রেডিয়েশন শক্তিই আমাদের কথাবার্তা এক মোবাইলে থেকে আরেক মোবাইলে পৌছে দেয়।

সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ১৯৭৫ সালের পূর্বে গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে যে হার্ট এটাক, কিডনি রোগ এবং ব্রেইন ক্যান্সারের রোগী অনেক কম ছিল।

পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে ভয়ংকর এসব রোগের মাত্রাও বেড়ে গেছে। মোবাইল ফোন চালু অবস্থায় বুক পকেটে রাখলে হার্ট এটাকের ঝুঁকি বেরে যায়।

আবার যদি ফোনটি চালু অবস্থায় কোমরে বেল্টে কিডনির নিকটবর্তী স্থানে রাখা হয়, তাহলে তার প্রভাব কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। অধিক সময় কানের কাছে রেখে কথা বললে কানের স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

ঝিন ঝিন করে, কানের ভিতরে অনেক সময় ব্যাথা করে। সাথে সাথে ব্রেইনের নিউরনের ক্ষতি করে এবং দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে থাকলে এটি ব্রেইনের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

নিয়মিত সাস্থ্য টিপস বিষয়ক ভিডিও পেতে নিচের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রইব করে রাখুন 

অনেক বাচ্চাই খেলনা মনে করে মোবাইল ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বাবা-মাও শিশু বাচ্চাটির আবদার রাখতে ফোন কানে দিয়ে গান শোনায় বা কথা বলায়। যেটি শিশুটির জন্য চরম ক্ষতিকারক। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেট ফোন, কর্ডলেস, ওয়্যারলেস ও মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে আসা প্রতি ৪ জন শিশুর মধ্যে ১ জন শিশু স্বাস্থ ঝুঁকিতে পরে।

তাই কোন ভাবেই শিশু বাচ্চাদের মোবাইল ফোন দেয়া যাবে না। একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে মোবাইল রেডিয়েশনের ক্ষতিকর প্রভাব কিছুটা কম হতে পারে। আপনার শরীরের নাজুক স্থানকে রক্ষা করতে মোবাইল ব্যাগ অথবা কভার ব্যবহার করুন ।

একটানা অনেক্ষন মোবাইলে কথা না বলে বিরতি দিয়ে দিয়ে কথা বলুন। ফোন চালু অবস্থায় পকেটে না রেখে হাতে বা ব্যাগে রাখুন। ঘুমের আগে মোবাইল সেটটি বন্ধ রাখবেন অথবা অন করা থাকলে ৩/৪ ফিট দূরে রাখবেন। বাচ্চাদের কাছে চালু মোবাইল সেট দিবেন না।

ঝামেলামুক্ত দ্রুত ওজন কমানোর ৬টি সহজ কৌশল

খুবই যন্ত্রণাদায়ক কাজগুলোর মধ্যে ওজন কমানো একটি। ওজন একবার বেড়ে গেলে তা পুনরায় আগের অবস্থানে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য কাজ। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় এবং অনেক কিছু ত্যাগ করে নিয়ে তবেই ওজন কমানো সম্ভব হয়। অনেকেই এই ঝামেলার কাজ করতে বিরক্ত বোধ করেন যার ফলে ওজনটা আর কমানো হয়ে উঠে না। তবে কিছু কৌশল রয়েছে যার মাধ্যমে ঝামেলামুক্ত ভাবে ওজন কমিয়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ওজন কমানোর ঝামেলামুক্ত কিছু সহজ কৌশল।

যোগ করুন, বাদ দেবেন না –
ওজন কমাতে চাইলে অনেকেই একবেলা বা দুই বেলার খাবার বাদ দেয়ার চেষ্টা করেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। কারণ এতে বরং আপনি বেশীই খেয়ে ফেলবেন। বরং বেলার সংখ্যা বাড়ান। ৩ বেলার জায়গায় অল্প করে ৫-৬ বেলা খান। একটু খেয়ে ক্ষুধা কমিয়ে ফেলুন। দেখবেন ওজন কমতে শুরু করেছে।

ব্যায়ামের কথা ভুলে যান –
এটি আসলে আমাদের মানসিক একটি সমস্যা। যখন আমরা ব্যায়ামের কথা ভাবি তখনই রাজ্যের অলসতা দেহে ভর করে এবং ফলাফলে ব্যায়াম করা আর হয়ে উঠে না। এর চাইতে এক কাজ করুন, ব্যায়ামের চিন্তা বাদ দিন। তার পরিবর্তে ঘরে কাজ করা শুরু করে দিন। এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো ওজন কম্বে এবং ঘরও গোছানো থাকবে।

নিয়মিত সাস্থ্য টিপস বিষয়ক ভিডিও পেতে নিচের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রইব করে রাখুন 

পছন্দের খাবারগুলো থেকে ফ্যাট কমিয়ে নিন –
যখন আমরা দেখি যে পছন্দের খাবারে ফ্যাট বেশী এবং আমরা তা খেতে পারবো না তখন ওই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিই আগ্রহ বেড়ে চলে। এর চাইতে বরং পছন্দের খাবার থেকে অল্প করে ফ্যাটটাই ভাদ দিয়ে দিন। যেমন অতিরিক্ত তেল না দিয়ে বেকড স্ন্যাকস খান, মেয়োনেজ বা চীজ বাদ দিন খাবার থেকে ইত্যাদি।

প্রচুর পানি পান করুন –
খাবার বাদ দিতে এবং ব্যায়াম করতে ঝামেলা? তাহলে সেগুলো না করে পানি পান করা বাড়িয়ে দিন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার অভ্যাস করুন। এতে আপনার খাবার চাহিদা অনেক কমে যাবে এবং সেই সাথে দেহের সার্বিক উন্নতি হবে।

খাবার ভাগ করে নিন –
আমাদের আরেকটি মানসিক সমস্যা বেশী খাবার দেখলে বেশী খেয়ে ফেলা। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে নিজের খাবার ভাগ করে খানিকটা অন্যকে দিয়ে দিন। আপনার খাওয়া কমে যাবে এবং অন্যেরও পেট ভরবে।

সময় পেলেই হাঁটুন –
আধুনিক যুগে ব্যস্ত মানুষেরা একেবারেই হাঁটতে চান না। পাচ মিনিটের পথে জ্যামে আধাঘণ্টা বসে থাকলেও নেমে হাঁটতে চান না। এই কাজটি করবেন না। সময় সুযোগ পেলেই হেঁটে আসুন। ওজন কমাতে একেবারেই ঝামেলা পোহাতে হবে না।