জাফর ইকবালকে আমি ভালোবাসতাম: ববিতা

1802

জাফর ইকবালকে আমি ভালোবাসতাম- ঢাকাই ছবির সোনালি দিনের চিত্রনায়িকা ববিতা। নিজের রুপ আর অভিনয়ের মাধ্যমে কোটি ভক্তের চোখের মধ্যমণি হয়ে আজও রয়েছেন। রুপালী জগৎ থেকে দুরে থাকলেও নিয়মিত তিনি শিরোনামে আছেন।

সংস্কৃতিক ও পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা মিলে এই চিত্রনায়িকার। ববিতার সাথে অনেক নায়ক জুটি বেঁধে কাজ করেছেন। ঠিক তেমনই একজন বরেণ্য অভিনেতা জাফর ইকবাল।

সম্প্রতি তিনি এক গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাফর ইকবালকে স্বরণ করে তিনি বলেন, জাফর ইকবালকে ভীষণ পছন্দ করতাম। খুবই স্মার্ট, গুড লুকিং। তাকে আমি ভালোবাসতাম। সেও আমাকে ভালোবাসত। অবসর সময়ে আমাকে গান শেখাত। গিটার বাজিয়ে ইংরেজি গানের চর্চা করতাম।

প্রসঙ্গত, ৭০ ও ৮০র দশকের অনবদ্য এ নায়িকা অস্কারজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পরিচালক সত্যজিত রায়ের অশনি সংকেত ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে প্রশংসা পান।

ববিতা ২৫০ টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি পরপর তিন বছর একটানা জাতয়ি চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি ১৯৫৩ সালে বাগেরহাট জেলায় জন্ম নেন। তাঁর বাবা নিজামুদ্দীন আতাউব একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন এবং মাতা বি. জে. আরা ছিলেন একজন চিকিৎসক। বাবার চাকরি সূত্রে তারা তখন বাগেরহাটে থাকতেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি যশোরে।

শৈশব এবং কৈশোরের প্রথমার্ধ কেটেছে যশোর শহরের সার্কিট হাউজের সামনে রাবেয়া মঞ্জিলে। তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে বড়বোন সুচন্দা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, বড়ভাই শহীদুল ইসলাম ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মেজভাই ইকবাল ইসলাম বৈমানিক, ছোটবোন চম্পা চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং ছোটভাই ফেরদৌস ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।

এছাড়াও অভিনেতা ওমর তাঁর ভাগ্নে এবং অভিনেত্রী মৌসুমী তাঁর ভাগ্নে বউ (ওমর সানীর স্ত্রী) এবং অভিনেতা রিয়াজ তাঁর চাচাত ভাই। চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান তার ভগ্নিপতি। ববিতার একমাত্র ছেলে অনীক কানাডায় পড়াশোনা করেন।

সুত্র-বি ডি ২৪ লাইভ।

অস্ট্রেলিয়ায় কি করছেন শাবনূর?

চিত্রনায়িকা শাবনূরের মৃত্যুর গুজব সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এই গুজবের খবর শাবনূর নিজেও শুনেছেন। তবে এমন খবরের পর নতুন খবর দিলেন শাবনূর নিজেই।

অস্ট্রেলিয়ায় একটি নাচের স্কুলে ভর্তি হয়েছেন শাবনূর। স্কুলে ‘জুম্বা’ ক্লাস করছেন তিনি। শাবনূর জানান, ‘জুম্বা’ এক ধরনের বিশেষ নাচ। যা শিখতে কিছুদিন আগে স্কুলে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে এই নাচ শিখছেন তার বোন ঝুমুরও। পাশাপাশি একমাত্র ছেলে আইজান ও পরিবার নিয়ে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিনগুলো কাটছে তার।

অস্ট্রেলিয়া থেকে শাবনূর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কীভাবে সময়গুলো কেটে যায়, টেরও পাই না। আইজানকে স্কুল থেকে আনা-নেওয়া, পারিবারে সময় দিতে গিয়েই দিন চলে যায়। এর মধ্যে আবার নাচের ক্লাস শুরু করেছি। সেখানেও সময় দিতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো আছি।’

শাবনূর বলেন, আপাতত দেশে আসার সম্ভাবনা নেই। আইজানের স্কুলও ছুটি হয়নি। তাছাড়া দেশে এখন ‘ডেঙ্গু’ ছড়িয়ে পড়ছে। এই সময় ছেলেকে নিয়ে দেশে আসা ঠিক হবে না। ইচ্ছে আছে, শীতের সময় দেশে আসার। এসে নতুন কাজ করার ইচ্ছে আছে। দেখা যাক, কি হয়।

উল্লেখ্য, শাবনূর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী রাতে’ মুক্তি পায় ১৯৯৩ সালে। এহতেশামের পরিচালনায় এতে তার বিপরীতে ছিলেন সাব্বির। সর্বশেষ শাবনূর অভিনয় করেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এত প্রেম এত মায়া’ ছবিতে।